ফরিদপুরের সদরপুরে প্রতিবেশীর বসতবাড়ির জমি দখলের জন্য এক পরিবারকে একঘরে রাখা এবং তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে কতিথ এক ইউটিউব চ্যানেলে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিমু আক্তার। এ বিষয়ে তিনি মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি,২০২১ইং) দুপুরে নিজ বিড়িতে অপপ্রচারকারীদের এবঙ প্রতিবেশীদের হয়রানির থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেন। শিমু আক্তার জেলার সদরপুর উপজেলার অকোটচর ইউনিয়নের সোনপঁচা গ্রামের আলমাস ব্যাপারীর স্ত্রী। বর্তমানে তার স্বামী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করার জন্য ঢাকায় রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিমু আক্তার বলেন, আমার স্বামীর বাড়ি পদ্মায় ভেঙ্গে নিলে আমি অনেক কষ্ট করে জমি কিনে এখানে বসবাস করছি। আমার জমিটির চারপাশে অন্যদের জমি থাকায় তারা আমাকে তাড়িয়ে দিয়ে আমার জমিটি দখলে নিতে চায়। এজন্য প্রতিবেশী শেখ আতা- পিং: শেখ রুকমান, সাজাহান বর্কনতাজ- পিং- মানিক, জামিলা খাতুন- স্বামী: হারেজ ফকির, সুমি আক্তার অলেচা- স্বামী: শেখ আতা গংরা তিন বছর যাবৎ আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি, নির্যাতন করে আসছে। তারা আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে রেখেছে। এছাড়া আমি কিছু লোকরে টাকা ধার দেই কিন্তু আজ ৫বছর যাবৎ টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা করতেছে মনু জমাদ্দার- পিতা: নুরু, জমেলা খাতুন- স্বামী: আলমগীর খান, রোকেয়া- স্বামী: শাজাহান বর্কনতাজ, হোসনা- স্বামী: শেখ সামসুদ্দিন ও পারভীন- স্বামী: ফারুখ খান। এ বিষয়ে আমি আদালতের শরণাপন্ন হলে এরাও আমার প্রতিবেশীদের সাথে মিলে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্তরা সম্প্রতি “অপরাধ সুত্র” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে টাকা দিয়ে আমাকে এবং আমার কলেজ পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে অপপ্রচার করছে চ্যানেলটি। ঐ ইউটিউবে আমাকে এবং আমার মেয়েকে চরিত্রহীন উল্লেখ করে অসামাজিক কাজ করে যাচ্ছি বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে আমি এবং আমার মেয়ে মানুষকে মুখ দেখাতে কষ্ট হচ্ছে। এমতাবস্তায় আমি অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের এবং ঐ কথিত ইউটিউব চ্যানেলের সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি করছি।
তিনি আরো জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ভূমি অফিস বরাবর চলাচলের পথ চেয়ে আবেদন করলে তারা আমাদের চলাচলের পথ নির্দিষ্ট করে দেন। পরবর্তীতে উল্লেখিতরা আমাদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, আমার জীবননাশের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বরাদ্দকৃত বিদ্যুতের খুটি স্থাপনের জন্য তারা বাঁধা দিয়েছে। তিনি জানানা, আমাদের হাটাচলার পথ বন্ধ করে দেওয়া আমি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি।
তার কলেজ পড়–য়া মেয়ে বলেন, তারা আমাকে সামাজিকভাবে হেয়পন্ন করতেছে। এতে আমি ভেঙ্গে পড়েছি, সমাজে, সহপাঠীদের মুখ দেখাতে পারছি না। আমার বিরুদ্ধে ইউটিউবে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
শিমু আক্তারের বৃদ্ধা মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ের পরিবার অনেক ভয়তে আছে। তাদের এই গ্র্যামে কোনো আপন মানুষ নাই। এই বাড়ি দহলের (দখলের) জন্য আশপাশের সবাই তাড়িয়ে দেয়ার জন্য উইঠা-পাইড়্যা লাগছে। আমার মেয়ের পরিবার এবং নাতি এখানে নিরাপদে নেই। আমি ওগো বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শেখ আতার বক্তব্য জানতে গেলে সাংবাদিক আশার খবর পেয়ে আগে থেকেই বাড়িতে তালা দিয়ে সটকে পড়ে তারা। তবে মোবাইল ফোনে শেখ আতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি যা বলেছি, চেয়ারম্যান ইউএনওর কাছে বলেছি, আপনাদের কাছে কি বলবো। পারলে ওনারা মামলা করুক।