ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং শতকোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১ জুন) এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার বৈধ আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন।
এছাড়া তিনি ৭ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করেছেন বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে।
দুদক আরও জানায়, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নামে ও ছদ্মনামে থাকা ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা হয় ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬ মার্কিন ডলার। একই সময়ে ওই হিসাবগুলো থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ টাকা এবং ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪০ মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা এবং ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
জানা গেছে, বর্তমানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করছেন। তার ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী। খন্দকার মোশাররফ তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয় এবং ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।