ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের দখল নিয়েছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের দখল নিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মোরাগ করিডোর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দখলে নিয়েছে। এর ফলে গাজা থেকে পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাফাহ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মোরাগ করিডোর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দখলে নিয়েছে। এটির দখলের ফলে রাফাহ শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে। বর্তমানে এটিকে ‘ইসরায়েলি নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কাটজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এটাই হামাসকে উৎখাত এবং সব জিম্মি মুক্ত করার শেষ সুযোগ। তা না হলে যুদ্ধ পুরো গাজাজুড়ে বিস্তৃত হবে।
তিনি জানান, গাজার মাঝামাঝি থাকা আরেকটি কৌশলগত এলাকা নেতজারিম করিডোর, যা গাজাকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে, সেটিও বিস্তৃত করা হবে। ইসরায়েল এই পথ থেকে যুদ্ধবিরতির সময় কিছুদিনের জন্য সরে গিয়েছিল, তবে ফের দখলে নিয়ে বর্তমানে তা ব্যবহার করছে।
কাটজ দাবি করেন, যেসব ফিলিস্তিনি গাজা ছেড়ে যেতে চান, তাদের জন্য ইচ্ছামতো পারাপারের ব্যবস্থা থাকবে। এ প্রসঙ্গে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনার কথাও পুনরায় উল্লেখ করেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৫ জনে পৌঁছেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি বাধায় এসব মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া এ হামলায় নিহত হয়েছেন আন্তত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
Tag :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের দখল নিয়েছে ইসরায়েল

Update Time : ০৫:৪৩:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের দখল নিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মোরাগ করিডোর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দখলে নিয়েছে। এর ফলে গাজা থেকে পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাফাহ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মোরাগ করিডোর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দখলে নিয়েছে। এটির দখলের ফলে রাফাহ শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে। বর্তমানে এটিকে ‘ইসরায়েলি নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কাটজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এটাই হামাসকে উৎখাত এবং সব জিম্মি মুক্ত করার শেষ সুযোগ। তা না হলে যুদ্ধ পুরো গাজাজুড়ে বিস্তৃত হবে।
তিনি জানান, গাজার মাঝামাঝি থাকা আরেকটি কৌশলগত এলাকা নেতজারিম করিডোর, যা গাজাকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে, সেটিও বিস্তৃত করা হবে। ইসরায়েল এই পথ থেকে যুদ্ধবিরতির সময় কিছুদিনের জন্য সরে গিয়েছিল, তবে ফের দখলে নিয়ে বর্তমানে তা ব্যবহার করছে।
কাটজ দাবি করেন, যেসব ফিলিস্তিনি গাজা ছেড়ে যেতে চান, তাদের জন্য ইচ্ছামতো পারাপারের ব্যবস্থা থাকবে। এ প্রসঙ্গে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনার কথাও পুনরায় উল্লেখ করেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৫ জনে পৌঁছেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি বাধায় এসব মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া এ হামলায় নিহত হয়েছেন আন্তত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।