করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া ফেইসবুক বা স্যোশাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
করোনাভাইরাসের কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আগেই। বাকি ছিল আবেদন ও লটারির তারিখ ঘোষণা। ১৫ ডিসেম্বর থেকে আবেদনপত্র বিতরণ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষনা দিয়েছিল। আর বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ৩০ ডিসেম্বর লটারির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
লটারির প্রক্রিয়া কোনোভাবেই যেন প্রভাবিত না হয় সেজন্য বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের শনিবার এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
অন্যবার প্রথম শ্রেণিতে লটারি এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এসব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন ফি এবার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
মাউশি বলছে, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কার্যক্রম লটারির মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবে।
“লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”
লটারির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটি, বিদ্যালয় ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি এবং শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
“করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে লটারির প্রক্রিয়া ফেইসবুক লাইভে অথবা যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।”
সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই প্রভাবিত না হয় তা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এত দিন একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারত।
এ ছাড়া সারা দেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। তখন প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে পছন্দক্রম অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে।
ঢাকাসহ দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর। চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুধু অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করা যাবে।