বঙ্গবন্ধুর পলাতক চার খুনি শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাওয়া বীরত্বের খেতাব স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
একইসঙ্গে তাদের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রুল শুনানি চলমান থাকা অবস্থায় চার আসামির রাষ্ট্রীয় খেতাব স্থগিত থাকবে।
যে চারজনের পদক স্থগিত করা হলো তারা হলেন- শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দীন ওরফে মুসলেম উদ্দিন খান।
এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের দায়ের করা রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও আশরাফুজ্জোহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান পরে বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু পরবর্তীতে বীরত্বের যে খেতাবগুলো দেওয়া হয়েছে, সেটা তাদের কারো অধিকার না। রাষ্ট্র তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে, রাষ্ট্র চাইলে সে খেতাব কেড়েও নিতে পারে।”
তিনি জানান, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয় খেতাব বিবেচনা-পুনর্বিবেচনার জন্য কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিগুলো যে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন দেয়, তার ভিত্তিতে খেতাবের স্বীকৃতি বহাল রাখা হয় বা বাতিল করা হয়।
“আমাদের দেশে এ ধরনের কোনো কমিটি সরকার করেনি। আমাদের রিটের আবেদনে সে ধরনের কমিটি গঠনের কোনো আরজি না থাকলেও রুল শুনানিতে বিষয়টি আমরা আদালতে তুলে ধরব।”
১৯১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৯০০ সৈনিকের বীরত্বের খেতাব বাতিল করা হয়েছিল জানিয়ে এ আইনজীবী বলেন, “রাষ্ট্রীয় খেতাবধারী কেউ যদি অসদাচরণ করে, বা কেউ যদি দণ্ডিত হয়, বা অবৈধ কাজ করে, যা খেতাবের মর্যাদার বিপরীত বা মর্যাদাহানীকর, সেক্ষেত্রে খেতাব বাতিল করা হয় বিভিন্ন দেশে।