ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
দেশের ভেতর আওয়ামী লীগের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণেই তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে আদানি পাওয়ার প্রতিবেশী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে নভেম্বর মাসেও সেন্টমার্টিন ভ্রমণে একধরনের অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা চলছে এবারের শীতে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মিলে ১৩টির মতো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের বিরুদ্ধে লড়াই করছে: জেলেনস্কি আজকের নামাজের সময়সূচি ৯ নভেম্বর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আসন্ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলের এমবিবিএস ও ডেন্টালের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুক দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ হাই কোর্টের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২৪৩ Time View

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে আদালত বলেছিল, একাত্তরের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

এছাড়া মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে বলা হয় ওই আদেশে।

সেদিন আদালত এই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছিল। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দেওয়া একটি প্রতিবেদন সোমবার আদালতে দাখিল করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সেটি আদালতে উপস্থাপন করেন। রিটকারী আইনজীবী আইনজীবী বশির আহমেদও এ সময় শুনানিতে যুক্ত ছিলেন।

আদালতের নির্দেশে মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে ৭ মার্চকে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদের করা রিটে ৭ মার্চকে কেন ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।

এছাড়া একাত্তরের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে, যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল যেস্থানে সেই স্থানে মঞ্চ পুনঃনির্মাণ কেন করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে।

৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘স্পিচ মোডের’ (তর্জনি উচিয়ে ভাষণের সময়কার ভঙ্গি) ভাস্কর্য নির্মাণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

সেই রুলের শুনানিতে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে।

কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থান এবং কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যেই আদালতের এ নির্দেশনা এল।

Tag :
জনপ্রিয়

দেশের ভেতর আওয়ামী লীগের সভা, সমাবেশ এমনকি কোনো ধরনের মিছিল করার কোনো সুযোগ নেই

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ হাই কোর্টের

Update Time : ০৮:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে আদালত বলেছিল, একাত্তরের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

এছাড়া মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করতে বলা হয় ওই আদেশে।

সেদিন আদালত এই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছিল। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দেওয়া একটি প্রতিবেদন সোমবার আদালতে দাখিল করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সেটি আদালতে উপস্থাপন করেন। রিটকারী আইনজীবী আইনজীবী বশির আহমেদও এ সময় শুনানিতে যুক্ত ছিলেন।

আদালতের নির্দেশে মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে ৭ মার্চকে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদের করা রিটে ৭ মার্চকে কেন ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।

এছাড়া একাত্তরের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে, যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল যেস্থানে সেই স্থানে মঞ্চ পুনঃনির্মাণ কেন করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে।

৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘স্পিচ মোডের’ (তর্জনি উচিয়ে ভাষণের সময়কার ভঙ্গি) ভাস্কর্য নির্মাণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

সেই রুলের শুনানিতে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে।

কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থান এবং কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যেই আদালতের এ নির্দেশনা এল।