বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এখানে প্রথম টিকা নেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে বিএসএমএমইউয়ে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি সুশৃঙ্খল করতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে সুসজ্জিত ভবনে কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে ৪টি বুথ সাজানো হয়েছে। টিকাদানে কয়েকটি বেডও বসানো হয়েছে। টিকাদান নিবন্ধনের জন্য বেশ ভিড়ও রয়েছে।
মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার এ কেন্দ্রে প্রথমে টিকা নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তারপর সকাল ১০টায় এ কেন্দ্রে টিকা নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে টিকা নেন তিনি।
টিকা নেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, টিকা নিয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচার বন্ধে তিনি নিজ আগ্রহেই টিকা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, টিকার নেওয়ার পরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করিনি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
এর আগে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে করোনা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। সব মিলিয়ে প্রথম দিন ২৬ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়।