ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আজকের নামাজের সময়সূচি ২১ মার্চ সুখী দেশের তালিকায় আরও পাঁচ ধাপ পিছিয়ে এ বছর ১৩৪তম অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতার দল’ সরকার ১৯৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত যে কোনো উপায়ে আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল বা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা সম্ভব নয়: সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ৩৩ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স গাজা উপত্যকায় গত মঙ্গলবার থেকে উপত্যকাটিতে ৭১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দরে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি

বড়দিন উৎযাপনে পস্তুত বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:১৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২২৬ Time View

স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ, শুভেচ্ছা বিনিময়, একসাথে দুপুরের খাবার আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পালিত হয়  খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব- বড়দিন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও গির্জায় গির্জায় চলছে সাজসজ্জা। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থানে শোভা পাচ্ছে বর্ণিল রূপে সাজানো ‘ক্রিসমাস ট্রি’ কিংবা সান্তাক্রুজের ছবি। কেক কেটে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপিত হয়। গির্জায় গির্জায় চলে বিশেষ প্রার্থনা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবে অংশ নেন। বড়দিন উপলক্ষে দিনব্যাপী থাকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের মধ্যে বড়দিনের উল্লেখযোগ্য খাবার নানা ধরনের পিঠা। ঘরে অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশীদেরও উপহার হিসেবে দেয়া হয় এই পিঠা।

এছাড়া গির্জায় সম্মিলিত ভোজের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় নানা রকমের মুখরোচক খাবার।

বড়দিন বা ক্রিসমাস একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশু খ্রিস্টের  জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন  কিনা তা জানা যায় না। আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্মতারিখ ধরা হয়। অন্যমতে একটি ঐতিহাসিক রোমান উৎসব  অথবা উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ অয়নান্ত  দিবসের অনুষঙ্গেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশুর জন্মজয়ন্তী পালনের প্রথাটির সূত্রপাত হয়। বড়দিন বড়দিনের ছুটির কেন্দ্রীয় দিন এবং খ্রিষ্টধর্মে বারো দিনব্যাপী খ্রিষ্টমাসটাইড  অনুষ্ঠানের সূচনাদিবস।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালিত হলেও রাশিয়া, জর্জিয়া, মিসর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ায় ব্যতিক্রম। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্য এ দেশগুলোতে ক্রিসমাস পালিত হয় ৭ জানুয়ারি। উত্তর ইউরোপীয়রা যখন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে তখন পৌত্তলিকতার প্রভাবে ক্রিসমাস শীতকালীন উৎসবের মতো পালন শুরু হয়। ফলে সেখানকার এ উৎসবে শীত উৎসবের অনুষঙ্গও জড়িত হয়েছে। এখন পর্যন্ত স্ক্যান্ডিনেভীয়রা এ দিনটিকে `জুন` উৎসব বলে থাকে। পূর্বদেশ অর্থাৎ এশিয়া মাইনরের দেশগুলোতে ৬ জানুয়ারি এ উৎসব পালন করা হয়। ৬ জানুয়ারি যিশুর ব্যাপ্টিজম বা দীক্ষাস্নান দিবস।

 

Tag :

আজকের নামাজের সময়সূচি ২১ মার্চ

বড়দিন উৎযাপনে পস্তুত বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা

Update Time : ০৫:১৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ, শুভেচ্ছা বিনিময়, একসাথে দুপুরের খাবার আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে পালিত হয়  খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব- বড়দিন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও গির্জায় গির্জায় চলছে সাজসজ্জা। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থানে শোভা পাচ্ছে বর্ণিল রূপে সাজানো ‘ক্রিসমাস ট্রি’ কিংবা সান্তাক্রুজের ছবি। কেক কেটে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপিত হয়। গির্জায় গির্জায় চলে বিশেষ প্রার্থনা। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবে অংশ নেন। বড়দিন উপলক্ষে দিনব্যাপী থাকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের মধ্যে বড়দিনের উল্লেখযোগ্য খাবার নানা ধরনের পিঠা। ঘরে অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশীদেরও উপহার হিসেবে দেয়া হয় এই পিঠা।

এছাড়া গির্জায় সম্মিলিত ভোজের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় নানা রকমের মুখরোচক খাবার।

বড়দিন বা ক্রিসমাস একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশু খ্রিস্টের  জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন  কিনা তা জানা যায় না। আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্মতারিখ ধরা হয়। অন্যমতে একটি ঐতিহাসিক রোমান উৎসব  অথবা উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ অয়নান্ত  দিবসের অনুষঙ্গেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশুর জন্মজয়ন্তী পালনের প্রথাটির সূত্রপাত হয়। বড়দিন বড়দিনের ছুটির কেন্দ্রীয় দিন এবং খ্রিষ্টধর্মে বারো দিনব্যাপী খ্রিষ্টমাসটাইড  অনুষ্ঠানের সূচনাদিবস।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালিত হলেও রাশিয়া, জর্জিয়া, মিসর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ায় ব্যতিক্রম। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্য এ দেশগুলোতে ক্রিসমাস পালিত হয় ৭ জানুয়ারি। উত্তর ইউরোপীয়রা যখন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে তখন পৌত্তলিকতার প্রভাবে ক্রিসমাস শীতকালীন উৎসবের মতো পালন শুরু হয়। ফলে সেখানকার এ উৎসবে শীত উৎসবের অনুষঙ্গও জড়িত হয়েছে। এখন পর্যন্ত স্ক্যান্ডিনেভীয়রা এ দিনটিকে `জুন` উৎসব বলে থাকে। পূর্বদেশ অর্থাৎ এশিয়া মাইনরের দেশগুলোতে ৬ জানুয়ারি এ উৎসব পালন করা হয়। ৬ জানুয়ারি যিশুর ব্যাপ্টিজম বা দীক্ষাস্নান দিবস।