মাহবুব পিয়াল , ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পূর্ব অঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।বন্যার ভয়াবহতা বেশি হওয়ায় সরকারের পাশাপাশি দেশের ছাত্রজনতা নিজেদের মতো করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।
বুধবার ফরিদপুরের সাধারণ ছাত্র জনতার উদ্দ্যোগে ও ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মোফাজ্জেল হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায়, নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের তিনশত টি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
শুকনা খাবারের মধ্যে ছিল মুড়ি, চিড়া ,চিনি, খেজুর, বিস্কুট, লবণ, ৫ লিটার খাবার পানি এবং ওষুধের মধ্যে ছিল জ্বর, ঠান্ডা, এলার্জি ও গ্যাসের ট্যাবলেট,ছোট বাচ্চাদের জন্য জ্বর ঠান্ডা কাশির স্রাব, সেনেটারী প্যাড,খাবার স্যালাইন, মোমবাতি এবং আগুন জ্বালানোর জন্য গ্যাস লাইট।
ডুমুরুয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাওন সাদ্দামের সহযোগিতা নিয়ে ইউনিয়নের বন্যা কবলিত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দেন ফরিদপুরের শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহাদ বিন ওসামা, সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আজিজুল মৃধা, গনিত বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সামিউল সিয়াম, আব্দুল্লাহ আল নাসিম, ও সাইফুর রহমান সিয়াম।
এ সময় ছাত্রদের মধ্য থেকে আব্দুল্লাহ আল নাসিম বলেন, যেদিন থেকে দেশের বন্যা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই বন্যা কবলিত এলাকার অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করি। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেন নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন। পরবর্তীতে আমরা একটি ট্রাকে করে ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নোয়াখালী বানভাসি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়।
পানিবন্দি মানুষ জানান : বিগত ১০০ বছরের ইতিহাসে তাদের এলাকায় এমন বন্যা হয়নি, কাছে টাকা থাকলেও বাজারে দোকান গুলোতে মিলছে না খাবার, বুক সমান পানির কারণে ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হচ্ছে। তারা বলেন ,সারা দেশের মানুষ তাদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, কেউ বুক সমান পানিতে হেঁটে হেঁটে এসে আবার কেউ নৌকা নিয়ে এসে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। এই দুঃসময়ে যারা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও প্রানভরে দোয়া করেন।