ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন যেকোনো নাগরিক দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ব্যাংকগুলো নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার করছে বৃহস্পতিবার মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তনের সুপারিশ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস করার সুযোগ নেই ফরিদপুরের কৃতি সন্তান সাবেক আইজিপি এম আজিজুল হকের ইন্তেকাল সবজি ছাড়া নিত্যব্যবহার্য প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের

ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের বয়কট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এ ছাড়া অস্থির পরিস্থিতির কারণে দুই দেশের ব্যবসায় যাতে কোনো ধরনের লোকসান না হয়, সে বিষয়ে হুঁশিয়ারি করেছে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স।

হাসিনা সরকার পতনের চার মাস : ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আহতরা

গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আইএমএর সদস্য ও চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল এবং কৌশিক চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, কোনোভাবেই ভারতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।

এ ছাড়া রোগীদের কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না। বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দিতেই হবে। তারা চিকিৎসকদের আরো মানবিক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এন কাঞ্জিলাল ও কৌশিক চৌধুরী বলেন, চলমান অস্থিরতায় যেমন বাংলাদেশি রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন, তেমনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের মেডিক্যাল ট্যুরিজম।

অচিরেই এই সমস্যা কেটে যাবে বলে মনে করছে আইএমএ। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দ্রুত হেল্পলাইন চালু করা হবে, যে নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ধরনের সাহায্য পাবেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশ ও ভারতকে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত ও মধুর করতে এগিয়ে আসতে হবে বলেও তারা দাবি করেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলকাতার বেসরকারি জেএন রায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের কোনো রোগীকে তারা চিকিৎসা দেবে না।

ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত প্রকাশ্যে এ কথা বলেন। বাকি চিকিৎসকরা যেন সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী, তথা কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, একজন চিকিৎসকের কাজ হলো রোগীকে সেবা দেওয়া এবং তাকে সুস্থ করে তোলা। চরম শত্রুর সঙ্গেও চিকিৎসকরা এই আচরণ করতে পারেন না।

কেউ অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করব না? চিকিৎসক বা চিকিৎসাকেন্দ্রের ধর্মই তো রোগীকে সুস্থ করে তোলা। অন্যদিকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের ব্যবসায়ও প্রভাব পড়া উচিত নয় বলে মনে করছে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স। সংগঠনটির সদস্য তথা ভারতের খেলানা বিভাগের সেক্রেটারি অনির্বাণ গুপ্ত বলেছেন, চলমান ইস্যুতে দুই দেশের ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়বে না।

গতকাল তিনি বলেন, ‘সংগঠনের তরফ থেকে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। ভারত সরকার যেভাবে বলবে সেভাবেই আমাদের চলতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, দুই দেশে একটা সুষ্ঠু সম্পর্কে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। রাজনৈতিক উত্তাপ ব্যবসায় যেন না পড়ে। দুই দেশেরই উচিত দুই দেশকেই সম্মান করা। আমি মনে করি, সব কিছু ভুলে আমাদের মধ্যে যে হৃদ্যতা ছিল, সেই সম্পর্কেই আগামীতে আরো মজবুত হবে।’

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইস্যুতে রাজনীতি প্রবেশ করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম

Tag :
জনপ্রিয়

পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন

বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের

Update Time : ০৩:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের বয়কট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এ ছাড়া অস্থির পরিস্থিতির কারণে দুই দেশের ব্যবসায় যাতে কোনো ধরনের লোকসান না হয়, সে বিষয়ে হুঁশিয়ারি করেছে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স।

হাসিনা সরকার পতনের চার মাস : ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আহতরা

গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের আইএমএর সদস্য ও চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল এবং কৌশিক চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, কোনোভাবেই ভারতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।

এ ছাড়া রোগীদের কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না। বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দিতেই হবে। তারা চিকিৎসকদের আরো মানবিক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

এন কাঞ্জিলাল ও কৌশিক চৌধুরী বলেন, চলমান অস্থিরতায় যেমন বাংলাদেশি রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন, তেমনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের মেডিক্যাল ট্যুরিজম।

অচিরেই এই সমস্যা কেটে যাবে বলে মনে করছে আইএমএ। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দ্রুত হেল্পলাইন চালু করা হবে, যে নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ধরনের সাহায্য পাবেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশ ও ভারতকে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত ও মধুর করতে এগিয়ে আসতে হবে বলেও তারা দাবি করেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলকাতার বেসরকারি জেএন রায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের কোনো রোগীকে তারা চিকিৎসা দেবে না।

ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত প্রকাশ্যে এ কথা বলেন। বাকি চিকিৎসকরা যেন সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী, তথা কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, একজন চিকিৎসকের কাজ হলো রোগীকে সেবা দেওয়া এবং তাকে সুস্থ করে তোলা। চরম শত্রুর সঙ্গেও চিকিৎসকরা এই আচরণ করতে পারেন না।

কেউ অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করব না? চিকিৎসক বা চিকিৎসাকেন্দ্রের ধর্মই তো রোগীকে সুস্থ করে তোলা। অন্যদিকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের ব্যবসায়ও প্রভাব পড়া উচিত নয় বলে মনে করছে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স। সংগঠনটির সদস্য তথা ভারতের খেলানা বিভাগের সেক্রেটারি অনির্বাণ গুপ্ত বলেছেন, চলমান ইস্যুতে দুই দেশের ব্যবসায় কোনো প্রভাব পড়বে না।

গতকাল তিনি বলেন, ‘সংগঠনের তরফ থেকে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। ভারত সরকার যেভাবে বলবে সেভাবেই আমাদের চলতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, দুই দেশে একটা সুষ্ঠু সম্পর্কে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। রাজনৈতিক উত্তাপ ব্যবসায় যেন না পড়ে। দুই দেশেরই উচিত দুই দেশকেই সম্মান করা। আমি মনে করি, সব কিছু ভুলে আমাদের মধ্যে যে হৃদ্যতা ছিল, সেই সম্পর্কেই আগামীতে আরো মজবুত হবে।’

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইস্যুতে রাজনীতি প্রবেশ করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম