বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সারাদেশে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার আহ্বান রমজানে মাধ্যমিক-কলেজে ছুটি, প্রাথমিকে ক্লাস ১৫ দিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোজা কবে শুরু, জানা যাবে কাল ৬৮৬ জনকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ৪০ হাজার পরিবার দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে দুদকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না হয় আইরিশদের ভাগ্যে স্বস্তি নিয়ে এসেছে বৃষ্টি; দ্বিতীয় ওয়ানডেটি পরিত্যক্ত সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভুটানকে

বাইডেন হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট

আন্তজার্তিক ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ২২১ Time View
ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টকে হারানোর রেকর্ড মার্কিন দেশে খুব বেশি নেই। অতীতে মাত্র পাঁচজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা পান নি। বাইডেন বহুল আলোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে তাকে ৬ষ্ঠ জনে পরিণত করতে চলেছেন।
সংবাদ সংস্থাগুলোতে প্রকাশিত ফলাফলে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে এ পর্যন্ত বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪টি। আর মাত্র ৬টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হলেই ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন বাইডেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট।
ঝুলে আছে পাঁচটি রাজ্য। এরমধ্যে জর্জিয়ার ও পেনসিলভেনিয়াতেও ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন জো বাইডেন।
মার্কিন ক্ষমতার অলিন্দ হোয়াইট হাউসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন জো বাইডেন। সবচেয়ে বয়স্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টই শুধু হবেন না তিনি, হবেন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ভোটের অধিকারীও।
পেনসিলভেনিয়ার বিজয় জো বাইডেনের ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট সুনিশ্চিত করতে পারে। ফল ঝুলে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে এখানেই ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই রাজ্যে ২০টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। ফলে ধারণা করাই যায় বাইডেনের অপেক্ষায় হোয়াইট হাউস।
বাইডেন জিততে চলেছেন এমন একটি পরিস্থিতে, যখন বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের তোপে পৃথিবীর শীর্ষ আক্রান্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাসিত হচ্ছিল একজন রগচটা ও ‘আনপ্রেডিকটেবল’ প্রেসিডেন্টের শাসনে। অর্থনীতি বিপন্ন, সামাজিক বিভাজন তীব্র আর সাংস্কৃতিক অবিশ্বাসের মেরুকরণ আক্রান্ত করেছিল বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশটিকে। একটি আশাবাদ ও আস্থার প্রতীক হয়ে তখনই ঘটলো জো বাইডেনোর নীরব উত্থান, যার জন্ম ১৯৪২ সালের ২০শে নভেম্বর পেনসিলভ্যানিয়ার স্ক্রানটনে।
তার প্রোফাইল আর দশজন সাধারণ মার্কিন নাগরিকের মতোই। চার ভাইবোনের সবার বড় তিনি। বড় হয়েছেন স্ক্রানটন, নিউ ক্যাসল ও ডেলাওয়ারে। বাবা জোসেফ রবিনেট বাইডেন, মা ক্যাথরিন ইউজেনিয়া ফিনেগান, আইরিশ বংশোদ্ভূত রমণী।
শিক্ষাজীবনে ডেলাওয়ারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়েন বাইডেন। তার রয়েছে সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রিও। জো বাইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীনই বিয়ে করেন নিলিয়া হান্টারকে ১৯৬৬ সালে। তাদের তিন সন্তান, জোসেফ বাইডেন, রবার্ট হান্টার ও নাওমি ক্রিস্টিনা।
ব্যক্তিগত যে তীব্র বেদনা বাইডেনের রয়েছে, তাহলো, বিয়ের মাত্র ৬ বছরের মাথায় ১৯৭২ সালে স্ত্রীকে হারানো। ক্রিসমাস ট্রি আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। দুর্ঘটনায় মারা যান তার মেয়ে নাওমিও। ২০১৫ সালে তার বড় ছেলের মৃত্যু হয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। জীবনের একটি বড় সময় তিনি স্বজন হারানোর শোকে ডুবে ছিলেন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৯৭৩ সালে বাইডেন বিয়ে করেন জিল ট্রেসিকে। তাদের সংসারে রয়েছে এক মেয়ে, অ্যাশলে ব্লেজার।
পারিবারিক বিষাদ অতিক্রম করে অতি সন্তর্পণে রাজনীতির শীর্ষে আরোহণ করেছেন বাইডেন। রাজনীতি তার মনে ও কাজে মিশেছিল যৌবনেই। শিক্ষাজীবনের শেষেই রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। ১৯৭০ সালে ডেলাওয়ারের নিউ ক্যাসল কাউন্টির কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হন জো বাইডেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় তার।
মাত্র ৩০ বছর বয়সে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী পঞ্চম সিনেটর। ডেলাওয়ার থেকে মোট ছয়বার সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। সিনেটের বিচার কমিটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা আইনসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়নে পালন করেন দায়িত্ববান ভূমিকা।
২০০৭ সালে বারাক ওবামার সঙ্গে রানিং মেট হিসেবে রাজনীতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যান জো বাইডেন। তিনি ছিলেন বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৬ সালে ডেমোক্রেট দলের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ ছিল তারই। কিন্তু তখন সরে দাঁড়ান তিনি। হিলারি ক্লিনটন নির্বাচন করে হারেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
বাইডেন পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক আমেরিকান সিনেট কমিটিতে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। সিনেটের এই কমিটির সভাপতি হিসেবে ২০১২ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের ইরাক যুদ্ধে যাবার বিষয়টিকে অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল তারই ওপর। ইরাক যুদ্ধেও বাইডেনের সমর্থন ছিল জোরালো। তবে তিনি পরে মার্কিন সেনাদের বিদেশে অবস্থানের বিরোধিতা করতে শুরু করেন। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও ছিলেন তিনি। সর্বপরি, তিনি মার্কিন স্বার্থের একজন রক্ষক হবেন, তা বলাই বাহুল্য
More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102