ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে রাজধানী শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে, বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা প্রাথমিকের ৬৫৩১ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করল হাইকোর্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার সদস্যরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ভাঙা বাড়ি থেকে যে যার মতো জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন মূর্তি না ভেঙে শত্রুর শক্তির বিপরীতে পাল্টা চিন্তা, শক্তি ও হেজেমনি গড়ে তোলা উচিত: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আগামী জুনের মধ্যেই সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সপ্তাহজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকা শীর্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভেঙে দেওয়ার কাজ এখনও চলছে

‘বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৫৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৩২৬ Time View
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শনিবার সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১ জন বিজয়ীর হাতে এ পদক তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।-খবর বাসসের
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনুষ্ঠানে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয় সমগ্র জাতির জন্যই সম্মাননা হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা বলেন, একুশের পথ বেয়েই আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল অর্জন।
এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা ও অর্থনীতিতে একজন করে মোট ২১ জনকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন- মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক, অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ।
শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন- কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় (আবৃত্তি), ও পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।
মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন।
সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ পদক পেয়েছেন।
বিজয়ীরা নিজ নিজ পদক প্রহণ করেন এবং মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পুত্র-কন্যা এবং পরিবারের সদস্যরা পদক প্রহণ করেন।
মরহুম জননেতা শামসুল হকের পক্ষে তার পুত্র গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্র্রী শরীফ আহমেদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) এর পক্ষে তার পুত্র পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার পুরস্কার গ্রহণ করেন। অন্যদিকে গোলাম মুরশিদের পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর এক ছাত্র।
পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং নগদ অর্থের চেক প্রদান করা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রি পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন এবং পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.বদরুল আরেফীন স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সংসদ সদস্যবৃন্দ, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, কবি, সহিত্যিক,লেখকসহ বুদ্ধিজীবী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Tag :

শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে রাজধানী শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা

‘বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

Update Time : ১১:৫৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শনিবার সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১ জন বিজয়ীর হাতে এ পদক তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।-খবর বাসসের
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনুষ্ঠানে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয় সমগ্র জাতির জন্যই সম্মাননা হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা বলেন, একুশের পথ বেয়েই আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল অর্জন।
এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা ও অর্থনীতিতে একজন করে মোট ২১ জনকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন- মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক, অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ।
শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন- কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় (আবৃত্তি), ও পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।
মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন।
সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ পদক পেয়েছেন।
বিজয়ীরা নিজ নিজ পদক প্রহণ করেন এবং মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পুত্র-কন্যা এবং পরিবারের সদস্যরা পদক প্রহণ করেন।
মরহুম জননেতা শামসুল হকের পক্ষে তার পুত্র গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্র্রী শরীফ আহমেদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) এর পক্ষে তার পুত্র পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার পুরস্কার গ্রহণ করেন। অন্যদিকে গোলাম মুরশিদের পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর এক ছাত্র।
পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং নগদ অর্থের চেক প্রদান করা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রি পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন এবং পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.বদরুল আরেফীন স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং সংসদ সদস্যবৃন্দ, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, কবি, সহিত্যিক,লেখকসহ বুদ্ধিজীবী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।