শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, আর বিচিসহ শিম ৪০ টাকা, লম্বা আকৃতির ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, খিঁড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গাজর ৪০ টাকা, ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা ফয়সাল আহমেদ বলেন, কিছুদিন আগেও অতিরিক্ত দামের কারণে আমরা সবজি কিনতে পারতাম না। সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম, মূলত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দামটা আমরা কম পাচ্ছি। তবে শীত চলে গেলে মনে হয় আবারও সবজির দাম বেড়ে যাবে। বাজার সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের উচিত হবে সবসময়ের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। নইলে ফের সবজির দাম বেড়ে যাবে। বর্তমানে সবজির যে বাজার দর আছে তাতে করে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারছেন। নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি সবার জন্যই বর্তমানে সবজির বাজার নাগালের মধ্যে।
সবজির দাম বিষয়ে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পুরো বছরের মধ্যে বর্তমানে সবজির দাম সবচেয়ে কম। সবধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে বাজারে, শীতকালীন পুরো সময়জুড়েই সবজির এমন সরবরাহ থাকবে। যে কারণে বাজারের সবচেয়ে কম দামে সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। এতে করে আমাদের বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। দাম বেশি থাকার সময় একজন ক্রেতা আধা কেজি, আড়াইশো গ্রাম করে ও সবজি কিনত। বর্তমানে দাম কম থাকায় সেই ক্রেতাই অনেক বেশি পরিমাণে সবজি কিনছে। এতে করে আগে যদি এক আইটেম সবজি ৫ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেই সবজি বিক্রি হয় ১০-১৫ কেজি।