শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হেমন্তকাল, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
রাত পোহালেই সমুদ্রনগরী কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রা শুরু করবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ আচরণবিধি লঙ্ঘন তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১২ জনকে ইসির শোকজ তফসিল পুনর্নির্ধারণের আর কোনো সুযোগ নেই: ইসি সচিব নির্বাচনে অংশ নিতে ৮২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ৩১৪০ পদে নিয়োগ আ.লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মার্কিন শ্রমনীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরিদপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন প্রার্থীরা আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম-আলু-পেঁয়াজ

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৩ Time View

রাজধানীতে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম-আলু-পেঁয়াজ। ন্যূনতম ৫০-৬০ টাকার কমে তেমন কোনো সবজি মিলছে না। শুধু পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়ার কেজি একটু কম। বেশিরভাগ সবজির দামই চড়া। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

বাজারের এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও আমরা ক্রেতারা এসব আলু, ডিম, পেঁয়াজ এখনও বাড়তি দামেই কিনছি। বাজার মনিটরিং যদি না থাকে তাহলে দাম নির্ধারণ করে দিয়ে কি লাভ হলো? দাম নির্ধারণের আগেও যে দামে কিনেছি এখনও সেই বাড়তি দামেই কিনছি।

তবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ কর্মদিবসে বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা কেজি দরে, আর আলু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা কেজি দরে। সেই সঙ্গে ডিম প্রতি হালি সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আজ সকাল ১০টার দিকে হাতিরপুল কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, মূলা ৬০-৭০ টাকা ও টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ টাকা, স্থানভেদে বেশিও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউয়ের দামও চড়া।

এদিকে আলু ৫০-৬০ টাকা কেজি, বরবটি ১০০ টাকা, গোল বেগুন ৯০-১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ ঢ্যাঁড়স ৬০, পটল ৬০, ঝিঙা ৮০, উস্তা ১০০ ও কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, প্রতি পিস জালি ৬০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মূলা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে। বড় ও মাঝারি তেলাপিয়া ২৩০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই-কাতলার মাছের দাম প্রতি কেজি ৩৭৫ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। এছাড়া বাড়তি আছে লেয়ার মুরগিও দাম, যা কেজিতে ৩৪০-৩৫০ টাকা। এছাড়া পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। কিছু স্থানে ৭০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্থানভেদে কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়েও কেন বেশি দামে ডিম, আলু, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বাড়তি দামের বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা যে দামে কিনে আনি, অল্প কিছু লাভ করে বিক্রি করি। কারা দাম বাড়িয়ে রেখেছে তা বড় বড় ব্যবসায়ীরা বলতে পারবে। আমরা যখন কম দামে ডিম, আলু, পেঁয়াজ কিনতে পারব তখন কম দামে বিক্রি করতে পারব। তার আগ পর্যন্ত আমাদের কিছুই করার নেই।

তবে টিসিবির সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন জানান, যেই পেঁয়াজ বর্তমান বাজারে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪৫ টাকায়। সেই হিসেবে এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102