ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ২১ মার্চ সুখী দেশের তালিকায় আরও পাঁচ ধাপ পিছিয়ে এ বছর ১৩৪তম অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতার দল’ সরকার ১৯৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত যে কোনো উপায়ে আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল বা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা সম্ভব নয়: সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ৩৩ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স গাজা উপত্যকায় গত মঙ্গলবার থেকে উপত্যকাটিতে ৭১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, এক মাসে ১৬৮ জন নিহত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৩৭২ Time View
বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১০৩ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৭৮ শতাংশ বেড়েছে এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।
দেশের সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে।
সংস্থাটির হিসাব মতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৮৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৬৭৩ জন। নিহতের মধ্যে ৪৭ শিশু ও ৯২ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া চারটি নৌ দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৪ জন আহত ও নিখোঁজ হয়েছেন ৬ জন। আর রেলপথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৬ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১১২টি দুর্ঘটনায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ১২৮ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে ৩২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন।
সড়কে কিশোর-যুবকেরা চরম বেপরোয়া হয়ে মোটরসাইকেল চালানোয় দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এজন্য তারাই বেশি দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক নিহতের হার বেড়েছে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলেছে, জানুয়ারিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭.২৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ ও নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলেও আশঙ্কা করেছে তারা।
Tag :

আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

বাড়ছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা, এক মাসে ১৬৮ জন নিহত

Update Time : ০৫:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১০৩ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৭৮ শতাংশ বেড়েছে এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।
দেশের সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে।
সংস্থাটির হিসাব মতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৮৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৬৭৩ জন। নিহতের মধ্যে ৪৭ শিশু ও ৯২ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া চারটি নৌ দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৪ জন আহত ও নিখোঁজ হয়েছেন ৬ জন। আর রেলপথে ১১টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৬ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১১২টি দুর্ঘটনায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ১২৮ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে ৩২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন।
সড়কে কিশোর-যুবকেরা চরম বেপরোয়া হয়ে মোটরসাইকেল চালানোয় দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এজন্য তারাই বেশি দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক নিহতের হার বেড়েছে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলেছে, জানুয়ারিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭.২৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ ও নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলেও আশঙ্কা করেছে তারা।