২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর গত মাসে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের পর উরুগুয়ের মাঠে ২-০ গোলে হেরে বসে ব্রাজিল। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে ঘুরে দাঁড়াবে কী, উল্টো এবার কলম্বিয়ার কাছে হেরে বসল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। শুরুতেই লিড পায় ব্রাজিল। কিন্তু এরপর যেন দেখা গেল ভিন্ন এক কলম্বিয়াকে। শেষদিকের চার মিনিটে জোড়া গোলে লণ্ডভণ্ড এক ব্রাজিল। কলম্বিয়াকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দিলেন লুইস ডিয়াজ।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে কলম্বিয়ার এস্টাডিও মেট্রোপলিটন মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। এই হারের পর দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চল থেকে বাছাইপর্বে পাঁচে নেমে গেল ব্রাজিল। স্মরণীয় এই জয়ে লাতিন আমেরিকার অঞ্চলের বাছাইয়ের টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠেছে কলম্বিয়া।
পুরো ম্যাচে ৬০ শতাংশ বলের দখল ছিল ব্রাজিলের। তবে গোলমুখে শট বেশি নিয়েছে কলম্বিয়া, ২৩টি। যার ১০টি ছিল লক্ষ্যে। ব্রাজিলের ১৩ শটের তিনটি থাকে লক্ষ্যে। নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়াতেও ব্রাজিলের দাপট স্পষ্ট থাকলেও রক্ষণের ঘাটতি হয় প্রকট। শেষ দিকে রক্ষণের ফাঁকফোকর দিয়েই দুই গোল হজম করে ফার্নান্দো দিনিজের দল।
ম্যাচের একদম শুরুতে কিছু বুঝে উঠার আগেই গোল পেয়ে যায় ব্রাজিল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ব্রাজিলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন মার্তিনেল্লি। দারুণ এক বল নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দেন ভিনিসিউস জুনিয়র। তার পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশিং টানেন মার্তিনেল্লি। প্রতিপক্ষের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে ভাসে ব্রাজিল।
বিরতির পর আর অবশ্য পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পক্ষে লিড ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। বিরতির পরও ওই গোল ধরে রেখে জেতার দিকে ছুটছিল তারা। তবে গোল শোধে মরিয়া স্বাগতিকরা বারবার হানা দিচ্ছিল ব্রাজিলের রক্ষণে। একের পর এক আক্রমণে ব্রাজিলের রক্ষণ হয়ে পড়ে নড়বড়ে।
৭৫ মিনিটে কার্লোস বোরহার বা দিক থেকে আসা ক্রস লাফিয়ে হেডে জালে জড়িয়ে দেন ডিয়াজ। মিনিট চারেক পর কলম্বিয়াকে আবারো উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন দিয়াস। সতীর্থ জেমস রদ্রিগেজের বাড়ানো বল নিয়ে লিভারপুলের এ লেফট উইঙ্গার আবারো হেডে নিশানাভেদ করেন। তার এ গোলেই কলম্বিয়ার জয় সুনিশ্চিত হয়।
শেষ দিকে একাধিক বদল করেও গোল শোধ করাতে পারেননি দিনিজ। চরম হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে। এই নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা দুই ম্যাচ হারল ব্রাজিল।