বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত মানুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৮। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৬ জন বলছে পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্যে ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৬০২।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৭০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ লাখ ১৭ হাজার ৯২৮ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৭। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৯ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ১১ হাজার ৫২৭। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭৬ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। তুরস্ক ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য সপ্তম। ইতালি অষ্টম। স্পেন নবম। আর্জেন্টিনা দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গত নভেম্বর থেকে ব্রাজিলে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু ফের বাড়ছে। ছুটির মৌসুম ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে।
ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৩১৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৩ জন হয়েছে।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৪ জন হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) প্রাদুর্ভাবের প্রায় এক বছর পর এটি পরিষ্কার যে এই বৈশ্বিক মহামারি মৌসুমি ফ্লুর চেয়ে বেশি খারাপ। আজ শুক্রবার প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, ফ্লুর চেয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার তিন গুণ বেশি। এএফপির খবর।
গবেষকেরা দেখেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীর চেয়ে বেশি করোনা রোগীর নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়েছে। তুলনামূলক এই হার করোনায় ১৬.৩ শতাংশ ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় ১০.৮ শতাংশ। আবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁদের অবস্থানকালের ব্যবধানও ছিল প্রায় দ্বিগুণ। আইসিইউতে করোনা রোগীদের থাকতে হয়েছে গড়ে ১৫ দিন। সেখানে ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীদের থাকতে হয় ৮ দিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড–১৯–এ ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল একই বয়সী ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীর চেয়ে বেশ কম। এই হার ছিল যথাক্রমে ১.৪ শতাংশ ও ১৯.৫ শতাংশ।