ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির শুভেচ্ছা বিনিময় ও উপহার সামগ্রী বিতরণ সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭-এর সুপারিশ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে এ সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণ অবস্থান নেবে: উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু সবাই মিলে অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা উপভোগ করছে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গাজা উপত্যকায় শিশুদের অবস্থা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার জাপানের মতোই ফরিদপুরে অ্যালকোহল পানে দুই কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু ফরিদপুরে শেখ হাসিনাসহ আ.লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার ভারতের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন নোয়েল টাটা

বিশ এর মার্চে বন্ধ, একুশের মার্চ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ইঙ্গিত: করোনার বর্ষপূর্তি, লন্ডভন্ড শিক্ষা সিডিউল

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী মার্চ মাসে খুলে দেয়া হতে পারে- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী মার্চ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে।

তাছাড়া গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার। বর্তমানে অফিস-আদালতের কার্যক্রম ধীরে ধীরে চালু হয়ে গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খুলে দেয়া হয়নি।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মিরপুর সেনানিবাসের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজে জাতীয় প্রতিরক্ষা কোর্স-২০২০ এবং সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্স-২০২০-এর স্নাতক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ভালো দিন আসতে পারে, আমাদের শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে সক্ষম হবে, তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে বিদ্যালয়গুলো না খোলা পর্যন্ত তার সরকারের অনলাইন শিক্ষা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

“আমরা এখন ১৫ জানুারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি, এর মধ্যে যদি অবস্থা ভালো হয়, খোলা হবে; যদি না হয়, আমরা খুলব না। কিন্তু আমি মনে করি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (জুম, ম্যাসেঞ্জার, ফেইসবুক গ্রুপ, ইউটিউব) ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লাস রেকর্ডিং করে কিশোর বাতায়ন, শিক্ষক বাতায়ন এবং ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই ঘরে বসে আমাদের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।

তার সরকার যখনই স্কুলগুলো খোলার বিষয়ে চিন্তা শুরু করলো তখনই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা আসার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করেই স্কুল না খুলে এখন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এরমধ্যে যদি অবস্থা ভাল হয়, তাহলে স্কুল খোলা হবে, না হলে আমরা খুলবো না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন,“আমি জানি, এই করোনাভাইরাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা। তার কারণ, স্কুল ছাড়া সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকা, এটা যে কত কষ্টকর, এটা সত্যিই খুব দুঃখের।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যথাসময়ে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দিয়েছে সরকার। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সর্বমোট ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২ খানা পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

১ জানুয়ারি  সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বই বিতরণ শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনদিন করে মোট বারোদিন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পয়লা জানুয়ারি বই উৎসব না হলেও বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পায়। এবার ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির শুভেচ্ছা বিনিময় ও উপহার সামগ্রী বিতরণ

বিশ এর মার্চে বন্ধ, একুশের মার্চ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ইঙ্গিত: করোনার বর্ষপূর্তি, লন্ডভন্ড শিক্ষা সিডিউল

Update Time : ০৭:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী মার্চ মাসে খুলে দেয়া হতে পারে- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী মার্চ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে।

তাছাড়া গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার। বর্তমানে অফিস-আদালতের কার্যক্রম ধীরে ধীরে চালু হয়ে গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খুলে দেয়া হয়নি।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মিরপুর সেনানিবাসের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজে জাতীয় প্রতিরক্ষা কোর্স-২০২০ এবং সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্স-২০২০-এর স্নাতক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ভালো দিন আসতে পারে, আমাদের শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে সক্ষম হবে, তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে বিদ্যালয়গুলো না খোলা পর্যন্ত তার সরকারের অনলাইন শিক্ষা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

“আমরা এখন ১৫ জানুারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি, এর মধ্যে যদি অবস্থা ভালো হয়, খোলা হবে; যদি না হয়, আমরা খুলব না। কিন্তু আমি মনে করি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (জুম, ম্যাসেঞ্জার, ফেইসবুক গ্রুপ, ইউটিউব) ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লাস রেকর্ডিং করে কিশোর বাতায়ন, শিক্ষক বাতায়ন এবং ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই ঘরে বসে আমাদের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।

তার সরকার যখনই স্কুলগুলো খোলার বিষয়ে চিন্তা শুরু করলো তখনই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা আসার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করেই স্কুল না খুলে এখন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এরমধ্যে যদি অবস্থা ভাল হয়, তাহলে স্কুল খোলা হবে, না হলে আমরা খুলবো না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন,“আমি জানি, এই করোনাভাইরাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা। তার কারণ, স্কুল ছাড়া সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকা, এটা যে কত কষ্টকর, এটা সত্যিই খুব দুঃখের।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যথাসময়ে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দিয়েছে সরকার। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সর্বমোট ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২ খানা পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

১ জানুয়ারি  সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বই বিতরণ শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনদিন করে মোট বারোদিন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পয়লা জানুয়ারি বই উৎসব না হলেও বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পায়। এবার ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই।