ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার রাতে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কা লেগেছিল। এই ওয়াটার বাসে ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।
নৌ পুলিশ জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকজনকে। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান মারুফ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন পুরুষ, একজন নারী এবং একজন শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, মরদেহের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছি। নিহতদের মধ্যে ৩ জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয়।
ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় নৌ-পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড।
এসআই মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাসটি ডুবে গেছে। বাল্কহেডটি পুলিশের হেফাজতে আছে।
তিনি বলেন, এতে ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। ২৫ জনের মতো সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গায় একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সরকারি একটি ওয়াটার বাস ডুবে গেছে। এই ঘটনায় নৌ পুলিশ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আনুমানিক ১০/১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। রাত হওয়ার কারণে ওয়াটার বাসে যাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল।