আজ দুপুর সাড়ে বারোটার সময় বোয়ালমারী পৌরসভার সোতাসী গ্রামে হরি বটতলা নামকস্থানের রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন দুই তরুণ-তরুণী।ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছিল রাজবাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি। সুতাশী রেল ক্রসিং এ আসার আগেই চলন্ত ট্রেনটির নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক তরুণ-তরুণী।
আশপাশের লোকজন কিছু বুঝে উঠবার আগেই দ্রুত গতিতে আসা চলন্ত ট্রেনটি ওই দুই তরুণ-তরুণীর শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর রেল লাইনের উপর পড়ে থাকে ট্রেনে কাটা পড়া শরীর দুটি।
যে তরুণটি মারা যান তাঁর নাম মো: ফজলুর রহমান (২০)।তিনি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার নায়েগড়বাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি আদিতসারী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। একই সাথে যে তরুণীটি মারা যান তার নাম ফারজানা আক্তার মুক্তা (১৯)। তিনি ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের আলী আকবর ওরফে আলিবার শেখের মেয়ে।
মোবাইল ফোনে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের পরিবার এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকা্বাসীর ধারণা।
ফারহানার চাচা হাবিবুর রহমান জানান, ফারহানার গত ঈদুল ফিতরের পর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কালিশংকরপুর গ্রামের রাসেল শেখের সাথে বিয়ে হয়। আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ফারহানাকে স্বামীর বাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল।
ফজলুর রহমানের মা হাসি বেগম মুঠোফোনে জানান, গত রবিবার তার ছেলে বাড়ি থেকে বেড়ানোর উদ্দ্যেশে বের হন। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তিনি বলেন, তার ছেলে মেসেঞ্জারে একটি মেয়ের সাখে কথা বলত তবে মেয়ে সম্পর্কে তার কিছু জানা নাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী দমকল বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামান খান সাইফুল আমাদের জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। ফারহানা ঘটনাস্থলেই মারা যান। উদ্ধারের সময় ফজলুর রহমান জীবিত ছিলেন। তবে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজলুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ফজলুর রহমান ও ফারহানার মৃতদেহ রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তারন্তর করা হয়েছে।