ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬

ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যদিও একজন সিনিয়র পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, সেখানে পর্যটকাদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পরপরই সৌদিতে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মোদী তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে মোদী এই হামলার নিন্দাও জানিয়েছেন।

জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান ও সেখানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও পহেলগামে পর্যটকদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি, তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই অঞ্চলে বিদ্রোহীরা ১৯৮৯ সাল থেকে সক্রিয়। তারা স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন, যাদের অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ।

২০২৩ সালে ভারত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শ্রীনগরে একটি জি২০ পর্যটনসভার আয়োজন করে। এর মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করা হয় সেখানে শান্তি ফিরছে। কারণ ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সহিংসতা ও দমনপীড়ন বেড়ে যায়।

ভারতের আনুমানিক পাঁচ লাখ সেনা স্থায়ীভাবে এই অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। সেখানে অস্থিরতার জন্য ভারত নিয়মিত পাকিস্তানকে দোষারোপ করে।

যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে তারা কেবল কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করে।

Tag :
জনপ্রিয়

আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬

Update Time : ০৪:৪৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যদিও একজন সিনিয়র পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, সেখানে পর্যটকাদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পরপরই সৌদিতে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মোদী তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে মোদী এই হামলার নিন্দাও জানিয়েছেন।

জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান ও সেখানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও পহেলগামে পর্যটকদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি, তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই অঞ্চলে বিদ্রোহীরা ১৯৮৯ সাল থেকে সক্রিয়। তারা স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন, যাদের অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ।

২০২৩ সালে ভারত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শ্রীনগরে একটি জি২০ পর্যটনসভার আয়োজন করে। এর মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করা হয় সেখানে শান্তি ফিরছে। কারণ ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সহিংসতা ও দমনপীড়ন বেড়ে যায়।

ভারতের আনুমানিক পাঁচ লাখ সেনা স্থায়ীভাবে এই অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। সেখানে অস্থিরতার জন্য ভারত নিয়মিত পাকিস্তানকে দোষারোপ করে।

যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে তারা কেবল কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করে।