ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন যেকোনো নাগরিক দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ব্যাংকগুলো নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার করছে বৃহস্পতিবার মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তনের সুপারিশ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস করার সুযোগ নেই ফরিদপুরের কৃতি সন্তান সাবেক আইজিপি এম আজিজুল হকের ইন্তেকাল সবজি ছাড়া নিত্যব্যবহার্য প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর কথা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১০:৪৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৪ Time View

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর কথা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক। পাশাপাশি তারা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) যৌথ বিবৃতিতে বিশিষ্ট নগরিকরা এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনাস্থা তৈরি করা, মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা এবং গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও জাতি পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করা।

৫৩ বিশিষ্টজন বলেন, ভারত সরকার যখন গণহত্যাকারী, পতিত স্বৈরশাসককে নিজেদের আশ্রয়ে রেখেছে, তখন ভারতীয় ‘গদি মিডিয়া’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ‘কল্পিত ক্র্যাকডাউনের’ গল্প প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। দেখা গেছে, এসব কথিত খবর হয় মিথ্যা, নয়তো বিভ্রান্তিমূলক।

তারা আরও বলেন, মুজিববাদী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ভারতের সহযোগিতায় দেশে যে স্বৈরশাসন ও লুটপাট চলে আসছিল, জুলাই গণ-ভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার কবল থেকে দেশের মানুষ নিজেদের মুক্ত করেছে। স্বৈরশাসনকে পরাজিত করার পর এখন চেষ্টা করা হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এবং জাতি পুনর্গঠনের যাত্রা শুরুর। এই সময় অবশ্যই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘গদি মিডিয়ার’ অপপ্রচার রুখে দিতে হবে।

বাংলাদেশের মূল শক্তি ‘বৈচিত্র্য’ উল্লেখ করে বিশিষ্টজনরা হয়, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে দেশের সব জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতামতের মানুষ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। এর ফলে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তারা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের উপাদানে শীর্ষ একটি দেশ হচ্ছে ভারত এবং এই দানবীয় প্রোপাগান্ডাযন্ত্র এখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে।

দেশবাসী ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে যে যেখানেই থাকুন না কেন, সবাই বাংলাদেশবিরোধী এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম ও সামাজিক-রাজনৈতিক বৈচিত্র্য বাংলাদেশের শক্তি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- শহিদুল আলম, অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানসুর, লতিফুল ইসলাম, সুমন রহমান, জিয়া হাসান, ড. মারুফ মল্লিক, অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, ড. হাসান আশরাফ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, সায়েমা খাতুন, অধ্যাপক স্বাধীন সেন, ড. সাইমুম পারভেজ, পাভেল পার্থ, বীথি ঘোষ, মাহবুব সুমন, ওমর তারেক চৌধুরী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, আ-আল মামুন, সুস্মিতা চক্রবর্তী, মোশরেকা অদিতি হক, আর রাজি, মাহাবুব রাহমান, তুহিন খান, মিছিল খন্দকার, ইসমাইল হোসেন, নাহিদ হাসান, গাজী তানজিয়া, কাজী জেসিন, মৃদুল মাহবুব, ফেরদৌস আরা রুমী, ড. মো. হাবিব জাকারিয়া, শাহতাব সিদ্দিক অনিক, ইমরুল হাসান, শাহনাজ মুন্নী, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মিশায়েল আজিজ, সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান, পারভেজ আলম, আরিফ রহমান, মোহাম্মদ রোমেল, কামরুল আহসান, জিয়া হাশান, আলতাফ শাহনেওয়াজ, শরত চৌধুরী, বায়েজিদ বোস্তামী, পার্থিব রাশেদ, দীপক কুমার গোস্বামী, জি এইচ হাবিব, আবুল কালাম আল আজাদ, আলমগীর স্বপন, সারোয়ার তুষার ও এহসান মাহমুদ।

Tag :
জনপ্রিয়

পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর কথা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক

Update Time : ১০:৪৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর কথা উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক। পাশাপাশি তারা ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) যৌথ বিবৃতিতে বিশিষ্ট নগরিকরা এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনাস্থা তৈরি করা, মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা এবং গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও জাতি পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করা।

৫৩ বিশিষ্টজন বলেন, ভারত সরকার যখন গণহত্যাকারী, পতিত স্বৈরশাসককে নিজেদের আশ্রয়ে রেখেছে, তখন ভারতীয় ‘গদি মিডিয়া’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ‘কল্পিত ক্র্যাকডাউনের’ গল্প প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। দেখা গেছে, এসব কথিত খবর হয় মিথ্যা, নয়তো বিভ্রান্তিমূলক।

তারা আরও বলেন, মুজিববাদী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং ভারতের সহযোগিতায় দেশে যে স্বৈরশাসন ও লুটপাট চলে আসছিল, জুলাই গণ-ভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার কবল থেকে দেশের মানুষ নিজেদের মুক্ত করেছে। স্বৈরশাসনকে পরাজিত করার পর এখন চেষ্টা করা হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এবং জাতি পুনর্গঠনের যাত্রা শুরুর। এই সময় অবশ্যই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘গদি মিডিয়ার’ অপপ্রচার রুখে দিতে হবে।

বাংলাদেশের মূল শক্তি ‘বৈচিত্র্য’ উল্লেখ করে বিশিষ্টজনরা হয়, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে দেশের সব জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতামতের মানুষ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। এর ফলে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তারা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্যের উপাদানে শীর্ষ একটি দেশ হচ্ছে ভারত এবং এই দানবীয় প্রোপাগান্ডাযন্ত্র এখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে।

দেশবাসী ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে যে যেখানেই থাকুন না কেন, সবাই বাংলাদেশবিরোধী এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জাতিগোষ্ঠী, ধর্ম ও সামাজিক-রাজনৈতিক বৈচিত্র্য বাংলাদেশের শক্তি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- শহিদুল আলম, অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানসুর, লতিফুল ইসলাম, সুমন রহমান, জিয়া হাসান, ড. মারুফ মল্লিক, অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, ড. হাসান আশরাফ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, সায়েমা খাতুন, অধ্যাপক স্বাধীন সেন, ড. সাইমুম পারভেজ, পাভেল পার্থ, বীথি ঘোষ, মাহবুব সুমন, ওমর তারেক চৌধুরী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, আ-আল মামুন, সুস্মিতা চক্রবর্তী, মোশরেকা অদিতি হক, আর রাজি, মাহাবুব রাহমান, তুহিন খান, মিছিল খন্দকার, ইসমাইল হোসেন, নাহিদ হাসান, গাজী তানজিয়া, কাজী জেসিন, মৃদুল মাহবুব, ফেরদৌস আরা রুমী, ড. মো. হাবিব জাকারিয়া, শাহতাব সিদ্দিক অনিক, ইমরুল হাসান, শাহনাজ মুন্নী, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মিশায়েল আজিজ, সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান, পারভেজ আলম, আরিফ রহমান, মোহাম্মদ রোমেল, কামরুল আহসান, জিয়া হাশান, আলতাফ শাহনেওয়াজ, শরত চৌধুরী, বায়েজিদ বোস্তামী, পার্থিব রাশেদ, দীপক কুমার গোস্বামী, জি এইচ হাবিব, আবুল কালাম আল আজাদ, আলমগীর স্বপন, সারোয়ার তুষার ও এহসান মাহমুদ।