যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা বেনাপোলের ধান্যখোলা, রঘুনাথপুর, সাদিপুর, ঘিবা, পুটখালী, বাহাদুরপুর, দৌলতপুর, বড় আচড়া, গাতিপাড়াসহ সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জরি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তে বসবাসরত জনসাধারণও বিজিবির সঙ্গে রাত জেগে সীমান্ত পাহাড়া দিচ্ছে।
এছাড়া সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনাকাঙি্ক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সন্ধ্যার পর জন সাধারণকে সীমান্ত এলাকায় যাতায়াতে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় সড়কগুলোতে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী উচ্চ সর্তকতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিজিবি সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে সকল ইউনিটকে বার্তা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় গত ২৬ নভেম্বর জামিন নাকচ করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালত। সেদিন তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও সাংবাদিকদের অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। ঘটনার প্রতিবাদ করলে আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় চিন্ময় অনুসারীরা। এ সময় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে তারা।
চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের কারণে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায় ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের একটি সংগঠনের সমর্থকরা। সীমান্তে বাংলাদেশ সম্পর্কে কটুক্তি করে বিক্ষোভও করে ভারতীয়রা। এ দিকে বেনাপোলে বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের কড়া হুঁশিয়ারি দেয় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। সম্প্রতি তাদের একটি সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। যদিও আমদানি-রপ্তানি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। এসব নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন।