২০১৯ সালের জুনে ঘটা করে কলকাতার অবাঙালি ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে বিয়ে করেছিল অভিনেত্রী ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ নুসরাত জাহান। বিয়ের দুই বছর না হতেই তাদের সংসার এখন ভাঙার পথে। জানা গেল, নিখিল জৈন ডিভোর্সের নোটিশ দিয়েছেন নুসরাতকে।
সোমবার রাতে এ খবর স্থানীয় এক পত্রিকায় ফাঁস করার পর নিখিল জৈন বলেছেন, এ ব্যাপারে তাঁর যা বলার আছে, তা পরে বলবেন।
কিন্তু কেন ঘটল তাঁদের দাম্পত্য জীবনে এমন ঘটনা? এ নিয়ে টালিউডের ছবিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যায় নুসরাতের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না নিখিল জৈনের। নুসরাতের ‘স্বাধীন জীবন’ মেনে নিতে পারছিলেন না নিখিল জৈন। নুসরাত সব সময় নিখিল জৈনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতেন। দুজনের সম্পর্কও ছিল গভীর।
নুসরাত হঠাৎ করে টালিউড তারকা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তা মেনে নিতে পারেননি নিখিল। শুধু তা–ই নয়, নুসরাত-যশের আজমির শরিফে গিয়ে একসঙ্গে ছুটি কাটানোকে মেনে নিতে পারেননি নিখিল জৈন। এ নিয়ে অশান্তি দেখা দেয় তাঁদের দাম্পত্য জীবনে। অবশেষে নিখিল বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ দেন।
নুসরাত শুধু একজন চিত্রতারকাই ছিলেন না; তিনি ছিলেন কলকাতার মডেলও। এ ছাড়া তাঁর আরেকটি পরিচয় ছিল, তিনি লোকসভার একজন সাংসদ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বশিরহাট কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেন তিনি। নুসরাতের জন্ম ১৯৯০ সালের ৮ জানুয়ারি। কমার্সে ডিগ্রি নেন ভবানীপুর কলেজ থেকে। নুসরাতের সঙ্গে নিখিল জৈনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ২০১৮ সালে। তাঁদের সেই সম্পর্কের জেরে বিয়ে হয় ২০১৯ সালের ১৯ জুন। সেই বিয়ের বয়স দুই বছর কাটতে না কাটতেই ভাঙন ধরল দাম্পত্য জীবনে। এখন এই দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের মুখোমুখি।
যদিও এর আগে তাঁদের দাম্পত্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু খবর ছড়িয়ে পড়লে তখন নুসরাত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না।
নুসরাত প্রথম চলচ্চিত্রে পা রাখেন ২০১১ সালে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর ‘শত্রু’ ছবিতে। তারপর এক এক করে তিনি অভিনয় করেন ২২টি ছবিতে। নুসরাতের সর্বশেষ ২০২১ সালের ছবি ‘ডিকশনারি’।
জানা গেছে, নুসরাতের সঙ্গে নিখিলের সম্পর্কে ভাটা পড়লেও এখনো নিখিলের সঙ্গে নুসরাতের ছোট বোন নুজহত জাহানের সম্পর্ক অটুট রয়েছে।