দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের ৮৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে গেছে দলটি। প্রথম সেশনের সেই নাটকীয়তার পর তিন দিনেই দিবা-রাত্রির টেস্ট জিতে নিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ম্যাচে কিছুটা এগিয়ে ছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানের লিড নেওয়া দলটিকে তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় গুটিয়ে দেন হেইজেলউড ও কামিন্স। অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া হয় ৯০ রানের ছোট্ট লক্ষ্য।
ব্যাটিং লাইনআপ কত ভালো, তার অন্যতম মান নির্ণায়ক হলো টেস্ট। সেখানে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ভুলে থাকা সংখ্যা-টংখ্যা টেনে আনলে দিনঘুম কেটে যাওয়াই স্বাভাবিক। ব্যক্তিগত স্কোরগুলো যে চোখের পাতায় কাঁটা হয়ে বেঁধে, যেন মুঠোফোনের নম্বর! ৪, ৯, ২, ০, ৪, ০, ৮, ৪, ০…। শেষ শূন্যটা টেস্টে চার সেঞ্চুরি নিয়ে ব্যাটিংয়ের নয়ে নামা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। এত চওড়া ব্যাটিং লাইনের এই হাল!
অ্যাডিলেড টেস্টে আজ তৃতীয় দিনে ভারত হেরেছে। যেনতেন হার নয়, ব্যবধানটা ৮ উইকেট ও হাতে দুই দিন রেখে। মানে তিন দিনে টেস্ট হেরেছে ভারত।
এর আগে শনিবার অ্যাডিলেইড ওভালে ১ উইকেটে ৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত এলোমেলো হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের নিখুঁত লাইন-লেংথের বোলিংয়ে।
সফরকারীদের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে, সর্বোচ্চ ৯ রান আসে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাট থেকে। শুরুতে ছোবল দেন কামিন্স। তার বেঁধে দেওয়া সুরে সঙ্গত করেন হেইজেলউড। লেজটুকু দ্রুত ছেটে দেন তিনিই। তার বোলিং ফিগার ৫-৩-৮-৫। মাত্র ঘণ্টা খানেক টিকতে পেরেছে সফরকারীরা। ১৫ রানেই ৫ উইকেট হারানোর পর দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হেইজেলউড অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার। অষ্টমবার টেস্টে পেলেন পাঁচ উইকেট। কামিন্স ৪ উইকেট নেন ২১ রানে।
ভারতের ৩৬ এর চেয়ে টেস্ট ইতিহাসে কম রান আছে কেবল চারটি। এই সংস্করণে ভারতের আগের সর্বনিম্ন ছিল ৪২। ১৯৭৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ড তাদের গুটিয়ে দিয়েছিল কেবল ১৭ ওভারে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৯৪৭ সালে ব্রিজবেনে করা ৫৮।
দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া পেইন জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। প্রথম ইনিংসে সাতে নেমে খেলেন অপরাজিত ৭৩ রানের চমৎকার ইনিংস। দুই ইনিংস মিলিয়ে গ্লাভসে জমান ৭ ক্যাচ।