ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে: বিএনপি মহাসচিব অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে গ্রেপ্তার ১৫২১ দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়ে দেড় লাখ ছুঁই ছুঁই করছে আট দিনে ৬৪ জেলায় সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি এ বছর ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ তিন বছরের মধ্যে একটি হতে পারে: মেট লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার চুক্তি অনুযায়ী তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ১০ ফেব্রুয়ারি

ভারতের মিজোরাম রাজ্যে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ নিয়ে ঢাকার উদ্বেগ, রাতে যৌথ টহল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:০৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২২৬ Time View

প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের মিজোরামে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি’র অস্তিত্ব রয়েছে। এমন তথ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তে যৌথ টহলের কথাও হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ভারতের গৌহাটিতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশের এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।

সম্মেলন শেষে শুক্রবার বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “বিজিবি মহাপরিচালক ভারতের মিজোরাম রাজ্যের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এই আস্তানাগুলো ধ্বংস করার জন্য অনুরোধ করেন।

“সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতির’ কথা উল্লেখ করে বিএসএফ মহাপরিচালক ওইসব আস্তানার (যদি থাকে) বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।”

গত ২২ ডিসেম্বর গৌহাটিতে শুরু হওয়া এবারের সীমান্ত সম্মেলনে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও ছিলেন এই দলে।

অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ভারতের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে অংশ নেয়।

এ সম্মেলনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখার পাশাপাশি আস্থা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজ না করা এবং সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে একমত হয় দুই পক্ষ।

উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ সর্বদা এর প্রশংসা করে বলে মন্তব্য করেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সীমান্তে অপরাধীদের হত্যার বদলে প্রচলিত আইনে বিচারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান তিনি।

সীমান্তে মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি অপরাধীদের ‘হত্যার পরিবর্তে নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনার’ জন্য বিজিবি মহাপরিচালক ‘সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান’ জানান বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

সেখানে বলা হয়, “সীমান্তে হত্যার ঘটনা অদূর ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে বিএসএফ মহাপরিচালক আশ্বাস প্রদান করেন।”

বিজিবি মহাপরিচালক মাদক, অস্ত্র, গবাদি পশু, জাল মুদ্রা, স্বর্ণ চোরাচালানের মত আন্তঃসীমান্ত অপরাধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এসব অপরাধ দমনে বিএসএফের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

Tag :

অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে: বিএনপি মহাসচিব

ভারতের মিজোরাম রাজ্যে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ নিয়ে ঢাকার উদ্বেগ, রাতে যৌথ টহল

Update Time : ০৬:০৯:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের মিজোরামে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি’র অস্তিত্ব রয়েছে। এমন তথ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তে যৌথ টহলের কথাও হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ভারতের গৌহাটিতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশের এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।

সম্মেলন শেষে শুক্রবার বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “বিজিবি মহাপরিচালক ভারতের মিজোরাম রাজ্যের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এই আস্তানাগুলো ধ্বংস করার জন্য অনুরোধ করেন।

“সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতির’ কথা উল্লেখ করে বিএসএফ মহাপরিচালক ওইসব আস্তানার (যদি থাকে) বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।”

গত ২২ ডিসেম্বর গৌহাটিতে শুরু হওয়া এবারের সীমান্ত সম্মেলনে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও ছিলেন এই দলে।

অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ভারতের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে অংশ নেয়।

এ সম্মেলনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখার পাশাপাশি আস্থা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজ না করা এবং সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে একমত হয় দুই পক্ষ।

উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ সর্বদা এর প্রশংসা করে বলে মন্তব্য করেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সীমান্তে অপরাধীদের হত্যার বদলে প্রচলিত আইনে বিচারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান তিনি।

সীমান্তে মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি অপরাধীদের ‘হত্যার পরিবর্তে নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনার’ জন্য বিজিবি মহাপরিচালক ‘সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান’ জানান বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

সেখানে বলা হয়, “সীমান্তে হত্যার ঘটনা অদূর ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে বিএসএফ মহাপরিচালক আশ্বাস প্রদান করেন।”

বিজিবি মহাপরিচালক মাদক, অস্ত্র, গবাদি পশু, জাল মুদ্রা, স্বর্ণ চোরাচালানের মত আন্তঃসীমান্ত অপরাধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এসব অপরাধ দমনে বিএসএফের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।