বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সারাদেশে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার আহ্বান রমজানে মাধ্যমিক-কলেজে ছুটি, প্রাথমিকে ক্লাস ১৫ দিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোজা কবে শুরু, জানা যাবে কাল ৬৮৬ জনকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ৪০ হাজার পরিবার দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে দুদকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না হয় আইরিশদের ভাগ্যে স্বস্তি নিয়ে এসেছে বৃষ্টি; দ্বিতীয় ওয়ানডেটি পরিত্যক্ত সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভুটানকে

ভারতের মিজোরাম রাজ্যে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ নিয়ে ঢাকার উদ্বেগ, রাতে যৌথ টহল

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১২৪ Time View

প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের মিজোরামে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ঘাঁটি’র অস্তিত্ব রয়েছে। এমন তথ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তে যৌথ টহলের কথাও হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ভারতের গৌহাটিতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশের এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।

সম্মেলন শেষে শুক্রবার বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “বিজিবি মহাপরিচালক ভারতের মিজোরাম রাজ্যের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এই আস্তানাগুলো ধ্বংস করার জন্য অনুরোধ করেন।

“সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতির’ কথা উল্লেখ করে বিএসএফ মহাপরিচালক ওইসব আস্তানার (যদি থাকে) বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।”

গত ২২ ডিসেম্বর গৌহাটিতে শুরু হওয়া এবারের সীমান্ত সম্মেলনে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও ছিলেন এই দলে।

অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ভারতের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে অংশ নেয়।

এ সম্মেলনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখার পাশাপাশি আস্থা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক কাজ না করা এবং সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে একমত হয় দুই পক্ষ।

উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ সর্বদা এর প্রশংসা করে বলে মন্তব্য করেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সীমান্তে অপরাধীদের হত্যার বদলে প্রচলিত আইনে বিচারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান তিনি।

সীমান্তে মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি অপরাধীদের ‘হত্যার পরিবর্তে নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনার’ জন্য বিজিবি মহাপরিচালক ‘সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান’ জানান বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

সেখানে বলা হয়, “সীমান্তে হত্যার ঘটনা অদূর ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে বলে বিএসএফ মহাপরিচালক আশ্বাস প্রদান করেন।”

বিজিবি মহাপরিচালক মাদক, অস্ত্র, গবাদি পশু, জাল মুদ্রা, স্বর্ণ চোরাচালানের মত আন্তঃসীমান্ত অপরাধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এসব অপরাধ দমনে বিএসএফের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102