সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন
১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হেমন্তকাল, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
সারা দেশে পাঁচ শতাধিক থানার ওসি বদলি হচ্ছেন নভেম্বরে রেমিট্যান্স কমেছে : বাংলাদেশ ব্যাংক ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি দাম আবারো বেড়েছে প্রোটিয়াদের হারিয়ে টাইগ্রেসদের ইতিহাস চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেফতারের নির্দেশ ইসির এক দিনে ৭শ’ ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিল ইসরায়েল আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র না তুললে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে — আব্দুর রহমান বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বি চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন পাকিস্তানে বন্দুকধারীদের হামলায় দুজন সেনা সদস্যসহ ৮ বাসযাত্রী নিহত

ভারতের সব সমীকরণ বদলে দিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা জিতে নিয়েছে অজিরা

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪৯ Time View

ভারতের সব সমীকরণ বদলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনালে স্বাগতিকদের ৭ উইকেটের বড় ব্যাবধানে হারিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা জিতে নিয়েছে অজিরা। ভারতের দেয়া ২৪১ রানের লক্ষ্য মাত্র ৪৩ ওভারেই পৌঁছে যায় প্যাট ক্যামিন্সের দল।

রোববার আহমেদাবাদে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখী হয় দু’দল। এদিন শুরুতে দলীয় মাত্র ৪৭ রানের মাথায় অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় উইকেট হারালেও পরের সময়টুকু শুধুই ট্রাভিস হেড ও মারনাস লাবুশানের। প্রায় ধ্বংস্তূপ থেকে এই জুটি একেবারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় দলকে। উভয়ে গড়েন ১৯২ রানের জুটি।

এদিন ট্রাভিস হেড খেলেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। তিনি যখন আউট হন, তখন জয় থেকে তার দল মাত্র ২ রান দূরে। তারপর ক্রিজে আসা ম্যাক্সওয়েল নিজের মোকাবেলার প্রথম বলেই ২ রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এই ম্যাক্সওয়েলই সেদিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালের পথ সুগম করেন। আর অপরপ্রান্তে থাকা মারনাস লাবুশানে অপরাজিত থাকেন ১১০ বলে ৫৮ রানে।

এদিন অজিদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই দলের সেরা পারফর্মার ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারানোর পর ইনিংস এগিয়ে নেয়ার দায়িত্বটা ছিল মার্শের কাঁধে। তবে তাকে থিতু হতে দেননি না বুমরাহ। ৪.৩ ওভারে উইকেট কিপারের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন তাকে। মিচেল মার্শ আউট হন ১৫ বলে ১৫ রান করে। ডেভিড ওয়ার্নার ৩ বলে ৭ রান করে শিকার হন মোহাম্মদ শামির। আরেক ব্যাটার স্মিথ মাত্র ৪ চার করে বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হন।

এরপরই শুরু হয় ট্রাভিস হেড ও মারনাস লাবুশানের ম্যাজিক। লাবুশানে এদিন মাটি কামড়ে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রাখলেও চালিয়ে খেলেন ট্রাভিস। সুবাধে খুব সহজেই দেশের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ে অসাধারণ অবদান রাখেন দুই ব্যাটার।

এর আগে যতটা দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছিল ভারত, শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তা দেখাতে পারেনি তারা। দেড় লাখ সমর্থকের ‘নীল সমুদ্রে’ ব্যাট হাতে জোয়ার আনতে পারেননি কোহলি-রোহিতরা। পারেননি চার ছক্কার ঝড় তুলে দর্শকদের উজ্জীবিত করতে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ২৪০ রানে অলআউট রোহিত শর্মার দল।

অথচ শুরুটা ছিল আকাশচুম্বী। প্রত্যাশার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। শুরু থেকে আগ্রাসী হয়ে উঠে তার ব্যাট। অধিনায়কের মতোই পথ দেখান দলকে, দেড় লাখ দর্শকের মুখে ‘রোহিত রোহিত’ স্লোগান মুখরিত হয়ে উঠে গোটা আহমেদাবাদ।

এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি শুভমান গিলও। মাত্র ৪ রান নিয়ে ধরে৷ সাজঘরের পথ। নিজেকে যদিও চেনানোর কিছু নেই, তবে এমন বড় ম্যাচে তার থেকে ভালো কিছুই প্রত্যাশা করেছিল সমর্থকরা। গিলের বিদায়ে ৪.২ ওভারে ৩০ রানে ভাঙে ভারতের উদ্বোধনী জুটি।

উইকেট পড়লেও তা টের পেতে দেননি রোহিত। নিজের মতো করেই নিয়ন্ত্রণ করন অজি বোলারদের। তবে ইনিংস বড় হয়নি ভারতীয় অধিনায়কের, তার তাণ্ডব চলে ৯.৪ ওভার নাগাদ। ৩১ বলে ৪৭ রানে ফেরেন তিনি। বোলার ম্যাক্সওয়েলের বুনো উদযাপনই বলে দিচ্ছিলো উইকেটটা কতো গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাদের জন্যে।

পরের ওভারেই প্যাট শ্রেয়াস আইয়ারকে (৪) ফেরালে ম্যাচে ফেরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা। ৪ বলের ব্যবধানে জোড়া উইকেট হারিয়ে ভেঙে যায় ভারতের মিডল অর্ডারের মেরুদণ্ড। দেড় লাখ সমর্থকের উল্লাস ভরা কণ্ঠ তখন স্তব্ধ হয়ে যায়। গোটা ভারত যেন পড়ে যায় চিন্তায়।

হঠাৎ বিপদে পড়া দলকে আগলে ধরেন বিরাট কোহলি। লোকেশ রাহুলকে নিয়ে গড়েন প্রতিরোধ করা এক জুটি। মন দেন বলে বলে রানে। ফলে ১১ থেকে ২০, এই ১০ ওভারে ভারত দল কোনো বাউন্ডারিই মারেনি! দু’জনেই পান অর্ধশতকের দেখা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই।

আগের ম্যাচেই কোহলি গড়েছিলেন এক আসরে সর্বোচ্চ পঞ্চাশোর্ধ রানের রেকর্ড। এবার তা এগিয়ে নিয়ে যান আরো একধাপ। ফাইনালের মঞ্চে পেলেন নবম অর্ধশতকের দেখা। আউট হবার আগে খেলেন ৬৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস।

রাহুল ফিফটি পূরণ করে ৮৫ বল খেলে। তবুও সমর্থকরা আশায় ছিল, অন্তত শেষ দিকে রান এনে দেবেন রাহুল। তবে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ১০৭ বলে ৬৬ রানে ফেরেন রাহুল। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানের ইনিংসে ছিল মাত্র একটি বাউন্ডারি! ৪১.৩ ওভারে ২০৩ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত।

সেখান থেকে সূর্যকুমারের ১৮ ও লোয়ার অর্ডারদের দৃঢ়তায় পুরো ৫০ ওভার খেলে আসে ভারত। পায় ২৪০ রানের মান বাঁচানো সংগ্রহ। অথচ এই ভারতেরই কিনা শেষ ৪ ইনিংসে সর্বনিম্ন রান ৩২৬!

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ৩, কামিন্স ও হ্যাজলউড নেন দুটি করে উইকেট।

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102