অন্যদিকে পাকিস্তানের পেশোয়ারের আকাশে ড্রোন ও বিমানবিধ্বংসী গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের আকাশে একটি ড্রোন দেখা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বিমানবিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে।
তবে স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫২ মিনিট নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর গোলাবর্ষণ ও শ্রীনগরে বিস্ফোরণের খবর থেমে গেছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
অন্যদিকে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি এক্সে এক পোস্টে জানান, কচ্ছ জেলাতেও ড্রোন দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘কচ্ছ জেলায় বেশ কয়েকটি ড্রোন দেখা গেছে। এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হবে।
যুদ্ধবিরতির পরও প্রস্তুত ও সতর্ক আছি : ভারতীয় সামরিক বাহিনী
তবে পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জানিয়েছেন, বর্তমানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হতে পারে এবং সশস্ত্র বাহিনী ও জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি পাতিয়ালা ডিসি জানিয়েছেন, যদি কোনো তাৎক্ষণিক হুমকি থাকে, তবে জনগণকে সময়মতো জানানো হবে, তবে বর্তমানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
এ ছাড়া রাজ্যের অমৃতসরের ডিসি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গেছে এবং প্রয়োজনে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হবে। জনসাধারণের উদ্দেশে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘…আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্ল্যাকআউট কার্যকর হলে বাড়িতে বা ঘরের ভেতরে থাকার জন্য প্রস্তুত থাকুন…আমরা এই মহড়া অনেকবার করেছি, তাই দয়া করে আতঙ্কিত হবেন না। এটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।’
পরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু আগে একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টা ধরে আমরা সন্ধ্যায় হওয়া সমঝোতা বারবার লঙ্ঘিত হতে দেখেছি। এটি আজকে হওয়া সমঝোতার লঙ্ঘন।’
মিশ্রি জানান, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে’ এবং ব্রিফিংয়ের শেষে তিনি ‘এই লঙ্ঘন মোকাবেলায় পাকিস্তানকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান’। পাকিস্তান এখনো মিশ্রির বক্তব্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র : এনডিটিভি, বিবিসি, আলজাজিরা