ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান; ১০০টিরও বেশি ড্রোন ছুঁড়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে জনপ্রিয় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে সবার নজর এখন লন্ডনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এক দিনে ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ইসরায়েলি হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তেহরান ইসরায়েলকে ‘ভয়াবহ পরিণামের’ হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি ইরানের রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো তৃতীয় ধাপে আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র যতক্ষণ প্রয়োজন ইরানে হামলা চলবে: নেতানিয়াহু

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতিকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে শান্তির আশা জাগলেও তা খুব অল্প সময়েই ভেঙে পড়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন হলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কঠোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও ভারত তা লঙ্ঘন করছে। এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ বলেছে, যুদ্ধবিরতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা অটুট রয়েছে, কিন্তু ভারতের আগ্রাসন এই শান্তি চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

এরই মধ্যে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, ভারত জানায়, পেহেলগাম হামলার প্রতিশোধে তারা ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে। ভারত পেহেলগাম হামলার ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘসহ বাংলাদেশ, কাতার, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও আরও বহু দেশ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছিল। এটি ৩০টিরও বেশি দেশের মধ্যস্থতায় হয়েছিল। তবে সহিংসতার নতুন ঢেউ এই শান্তি প্রচেষ্টাকে বিপর্যস্ত করে তুলছে।

সীমান্তবর্তী গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এসব ঘটনার জেরে সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

যুদ্ধবিরতির এই ভঙ্গুর বাস্তবতা দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠাকে কঠিন করে তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি দ্বিপাক্ষিক বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হয়, তবে সংঘর্ষের পরিসর আরও বাড়তে পারে।

সূত্র: আলজাজিরা, ইউএন স্টেটমেন্টস, ইন্ডিয়ান অ্যান্ড পাকিস্তানি ফরেন মিনিস্ট্রিস

Tag :
জনপ্রিয়

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান; ১০০টিরও বেশি ড্রোন ছুঁড়েছে

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে

Update Time : ০৩:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতিকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে শান্তির আশা জাগলেও তা খুব অল্প সময়েই ভেঙে পড়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন হলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কঠোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও ভারত তা লঙ্ঘন করছে। এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ বলেছে, যুদ্ধবিরতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা অটুট রয়েছে, কিন্তু ভারতের আগ্রাসন এই শান্তি চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

এরই মধ্যে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, ভারত জানায়, পেহেলগাম হামলার প্রতিশোধে তারা ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে। ভারত পেহেলগাম হামলার ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘসহ বাংলাদেশ, কাতার, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও আরও বহু দেশ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছিল। এটি ৩০টিরও বেশি দেশের মধ্যস্থতায় হয়েছিল। তবে সহিংসতার নতুন ঢেউ এই শান্তি প্রচেষ্টাকে বিপর্যস্ত করে তুলছে।

সীমান্তবর্তী গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এসব ঘটনার জেরে সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

যুদ্ধবিরতির এই ভঙ্গুর বাস্তবতা দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠাকে কঠিন করে তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি দ্বিপাক্ষিক বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হয়, তবে সংঘর্ষের পরিসর আরও বাড়তে পারে।

সূত্র: আলজাজিরা, ইউএন স্টেটমেন্টস, ইন্ডিয়ান অ্যান্ড পাকিস্তানি ফরেন মিনিস্ট্রিস