নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসন জারির প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। একই সঙ্গে মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নিউজিল্যান্ড সফরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন এক ঘোষণায় এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের সব রাজনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগ স্থগিত করা হয়েছে।মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কঠোর বার্তা দিতে চাই। আমরা বলতে চাই, এখানে, নিউজিল্যান্ডে বসে যা যা করা সম্ভব, তার সবই আমরা করব। এর মধ্যে একটি হচ্ছে এখন থেকে উচ্চ পর্যায়ের সব আলোচনা আমরা স্থগিত করব। এমন কোনো সাহায্য আমরা মিয়ানমারে দেব না, যেটা সামরিক সরকারকে সুবিধা দেবে।
২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারকে ৩ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল এবং নির্বাচিত সরকারের নেত্রী অং সান সু চিসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের বন্দি করার প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে টানা চারদিন ধরে প্রতিবাদ চলছে।
এদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের পর সোমবার প্রথম জনসমক্ষে আসেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং। টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি অভ্যুত্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।