ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে টানা শাটডাউন কর্মসূচি ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদে তুলে ধরবে; তারপর নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার কাউকে হয়রানিমূলকভাবে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ফরিদপুরের আলোচিত সেই অনার্স ,মাস্টার্স পাশ করা রিক্সা চালক জুলহাস ব্যাপারীর চাকরী হয়েছে। পাকিস্তানে হঠাৎ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৭ পাকিস্তানের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘শুধুই ভারতের জন্য’ রাখা হয়েছে: পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা রো‌হিঙ্গা‌দের জন্য স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব থে‌কে সরে এলো জামায়াত

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১
  • ২১৭ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে তাঁর সরকার।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে কেউ ঘর ছাড়া থাকবে না এবং কারও ঘর অন্ধকার থাকবে না। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।’

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি মোবাইল আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপকারভোগীদের কাছে প্রেরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শুধু ভাতার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কর্মক্ষমদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করার তাগিদ দেন। পরে উপকারভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করি, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করি। বস্তিবাসীদের সাথে কথা বলি, সার্ভে করি এবং তাদের জিজ্ঞেস করি নিজেদের গ্রামে ফিরে গেলে পরে ঘর বানিয়ে দিলে যাবে কিনা। আমরা ঘর তৈরি করে দেওয়া, বিনা পয়সায় ছয় মাসের খাবারের ব্যবস্থা করা এবং তাদের কিছু টাকা দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে সেভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। যাদের ভিটেমাটি আছে, টাকা নেই ঘর করার, তাদের নামে গৃহায়ণ তহবিল নামে একটি তহবিল করে দেই।’

জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্নের দেশ গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়নে নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে কাজ করে গেছেন। মৃত্যুকে সামনে দেখেও তিনি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। জাতির পিতার থেকে পাওয়া সে শিক্ষাকে পুঁজি করেই অসহায় মানুষের জন্য আমরা কাজ করছি।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা যখন সমগ্র বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার যখন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমি মানুষের সমর্থন নিয়ে দেশে ফিরে আসি। বাবার মতো দুস্থ মানুষের কষ্ট দেখতে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছি। মাইলের পর মাইল হেঁটে তাদের কষ্ট দেখেছি। তখন থেকে আমরা দলের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থেকেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, মুজিব বর্ষে দেশে এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। তবে এক কোটির বেশি গাছ লাগানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, অসহায় ও গৃহহীনদের সহায়তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী মোবাইলের মাধ্যমে ভাতাভোগীদের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন জেলার ভাতাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

Tag :

অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Update Time : ০৭:৫৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে তাঁর সরকার।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে কেউ ঘর ছাড়া থাকবে না এবং কারও ঘর অন্ধকার থাকবে না। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।’

বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি মোবাইল আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপকারভোগীদের কাছে প্রেরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শুধু ভাতার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কর্মক্ষমদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করার তাগিদ দেন। পরে উপকারভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করি, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করি। বস্তিবাসীদের সাথে কথা বলি, সার্ভে করি এবং তাদের জিজ্ঞেস করি নিজেদের গ্রামে ফিরে গেলে পরে ঘর বানিয়ে দিলে যাবে কিনা। আমরা ঘর তৈরি করে দেওয়া, বিনা পয়সায় ছয় মাসের খাবারের ব্যবস্থা করা এবং তাদের কিছু টাকা দিয়ে, ট্রেনিং দিয়ে সেভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। যাদের ভিটেমাটি আছে, টাকা নেই ঘর করার, তাদের নামে গৃহায়ণ তহবিল নামে একটি তহবিল করে দেই।’

জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্নের দেশ গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়নে নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে কাজ করে গেছেন। মৃত্যুকে সামনে দেখেও তিনি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। জাতির পিতার থেকে পাওয়া সে শিক্ষাকে পুঁজি করেই অসহায় মানুষের জন্য আমরা কাজ করছি।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা যখন সমগ্র বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার যখন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমি মানুষের সমর্থন নিয়ে দেশে ফিরে আসি। বাবার মতো দুস্থ মানুষের কষ্ট দেখতে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছি। মাইলের পর মাইল হেঁটে তাদের কষ্ট দেখেছি। তখন থেকে আমরা দলের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থেকেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, মুজিব বর্ষে দেশে এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। তবে এক কোটির বেশি গাছ লাগানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, অসহায় ও গৃহহীনদের সহায়তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী মোবাইলের মাধ্যমে ভাতাভোগীদের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন জেলার ভাতাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।