ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে আইন ও বিচার বিভাগ ভারতের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা আগামী ১ অক্টোবর থেকে বিমানবন্দর এলাকা হর্নমুক্ত ঘোষণা জাবি প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহারের বিধান করে বিগত সরকারের প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি বরাবর জবাবদিহি করতে হবে শেখ হাসিনাকে সদলবলে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে নিউইয়র্কে হচ্ছে না ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক সালমান-আনিসুল হকের আবার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত

মুশফিক মারতে গেলেন সতীর্থকে

ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বল, ম্যাচ জিততে ১৯ বলে ৪৫ রান প্রয়োজন ফরচুন বরিশালের। বোলার শফিকুল ইসলামের সেই ওভারের পাঁচ বলে খরচ করেছিলেন ১০ রান। শেষ বলে স্কুপ করতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন বরিশালের আশা ভরসার প্রতীক আফিফ হোসেন ধ্রুব, ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের হাতে।

জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আফিফের উইকেট নেয়ার পর বাঁধনহারা উদযাপনে মত্ত হওয়ার কথা ঢাকা শিবিরের। কিন্তু দেখা গেল উল্টো দৃশ্য। আফিফের বিদায় ঘণ্টা বাজানো ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করার পর ফাইন লেগে দাঁড়ানো নাসুম আহমেদের দিকে রীতিমতো তেড়ে যান মুশফিক, রাগী চোখে নাসুমের মুখে ঘুষি মারার ভঙ্গিমা করেন তিনি।

বল যখন হাওয়ায় ভাসছিল, তখন পেছনের দিকে যাচ্ছিলেন মুশফিক আর নাসুমও ধীর পায়ে সামনে এগুচ্ছিলেন। তবে মুশফিক বলের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় থেমে যান নাসুম। ক্যাচটি লুফে নেয়ার পর নাসুমের সঙ্গে মৃদু ধাক্কার মতো লাগে মুশফিকের।

তখনই রেগে আগুন হয়ে যান ঢাকা অধিনায়ক। হাতে থাকা বলটি নাসুমের দিকে ছুড়ে মারার ভঙ্গি করেন তিনি, মনে হচ্ছিল বলসহই মুখে ঘুষি মেরে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চান নাসুম, পর মুহূর্তেই আবার তার পিঠ চাপড়ে দেন মুশফিক।

এই ম্যাচে নাসুমের ওপর মুশফিকের রেগে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ইনিংসের ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলেও ঘটে একই ঘটনা। আগের বলেই আফিফের কাছে ছক্কা হজম করেন নাসুম। পরের বলটি অনসাইডে ঠেলেই এক রান নেন আফিফ, চেষ্টা করেন দ্বিতীয় রানের জন্য, যদিও তা নিতে পারেননি।

ওদিকে বলের দিকে দুই পাশ থেকে দৌড় দেন নাসুম ও মুশফিক, তবে বল আগে পেয়ে যান মুশফিক। তিনি থ্রো করতে উদ্যত হলে দেখেন নাসুম ঠিক তার সামনেই দাঁড়িয়ে। তখন থ্রো না করে আবারও রক্তিম চোখে নাসুমের দিকে বল ছুড়ে মারার ভঙ্গি করেন ঢাকার অধিনায়ক। সেবারও অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন নাসুম।

উল্লেখ্য, সতীর্থ খেলোয়াড়ের দিকে এমন মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনাও আজই প্রথম নয়। লিগ পর্বে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মধ্যকার ম্যাচেও দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
চট্টগ্রামের ইনিংসের শেষ ওভারে ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করা সতীর্থ আনিসুল ইসলাম ইমনের ওপর রেগে যান সাইফউদ্দিন। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্টই দেখা গেছে যে, থাপ্পড় মারার ভঙ্গি করেছেন রাজশাহীর এ অলরাউন্ডার।
Tag :
জনপ্রিয়

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার

মুশফিক মারতে গেলেন সতীর্থকে

Update Time : ০৫:১৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বল, ম্যাচ জিততে ১৯ বলে ৪৫ রান প্রয়োজন ফরচুন বরিশালের। বোলার শফিকুল ইসলামের সেই ওভারের পাঁচ বলে খরচ করেছিলেন ১০ রান। শেষ বলে স্কুপ করতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন বরিশালের আশা ভরসার প্রতীক আফিফ হোসেন ধ্রুব, ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের হাতে।

জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আফিফের উইকেট নেয়ার পর বাঁধনহারা উদযাপনে মত্ত হওয়ার কথা ঢাকা শিবিরের। কিন্তু দেখা গেল উল্টো দৃশ্য। আফিফের বিদায় ঘণ্টা বাজানো ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করার পর ফাইন লেগে দাঁড়ানো নাসুম আহমেদের দিকে রীতিমতো তেড়ে যান মুশফিক, রাগী চোখে নাসুমের মুখে ঘুষি মারার ভঙ্গিমা করেন তিনি।

বল যখন হাওয়ায় ভাসছিল, তখন পেছনের দিকে যাচ্ছিলেন মুশফিক আর নাসুমও ধীর পায়ে সামনে এগুচ্ছিলেন। তবে মুশফিক বলের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় থেমে যান নাসুম। ক্যাচটি লুফে নেয়ার পর নাসুমের সঙ্গে মৃদু ধাক্কার মতো লাগে মুশফিকের।

তখনই রেগে আগুন হয়ে যান ঢাকা অধিনায়ক। হাতে থাকা বলটি নাসুমের দিকে ছুড়ে মারার ভঙ্গি করেন তিনি, মনে হচ্ছিল বলসহই মুখে ঘুষি মেরে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চান নাসুম, পর মুহূর্তেই আবার তার পিঠ চাপড়ে দেন মুশফিক।

এই ম্যাচে নাসুমের ওপর মুশফিকের রেগে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ইনিংসের ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলেও ঘটে একই ঘটনা। আগের বলেই আফিফের কাছে ছক্কা হজম করেন নাসুম। পরের বলটি অনসাইডে ঠেলেই এক রান নেন আফিফ, চেষ্টা করেন দ্বিতীয় রানের জন্য, যদিও তা নিতে পারেননি।

ওদিকে বলের দিকে দুই পাশ থেকে দৌড় দেন নাসুম ও মুশফিক, তবে বল আগে পেয়ে যান মুশফিক। তিনি থ্রো করতে উদ্যত হলে দেখেন নাসুম ঠিক তার সামনেই দাঁড়িয়ে। তখন থ্রো না করে আবারও রক্তিম চোখে নাসুমের দিকে বল ছুড়ে মারার ভঙ্গি করেন ঢাকার অধিনায়ক। সেবারও অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন নাসুম।

উল্লেখ্য, সতীর্থ খেলোয়াড়ের দিকে এমন মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনাও আজই প্রথম নয়। লিগ পর্বে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মধ্যকার ম্যাচেও দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
চট্টগ্রামের ইনিংসের শেষ ওভারে ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করা সতীর্থ আনিসুল ইসলাম ইমনের ওপর রেগে যান সাইফউদ্দিন। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্টই দেখা গেছে যে, থাপ্পড় মারার ভঙ্গি করেছেন রাজশাহীর এ অলরাউন্ডার।