ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় ফের রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ, আহত ১০ বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা আমাদের সবার দায়িত্ব রাস্তা ঘেষে বেকু দিয়ে মাটি কাটায় ধসে যাচ্ছে ফরিদপুর লেকপাড়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ অক্টোবর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে

মুসলিম নারীদের গণধর্ষণে গর্ববোধ করত চীনা পুলিশরা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৪০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২৭৩ Time View

শিনজিয়াংয়ের বন্দীশিবির (ছবি: সংগৃহীত)

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম নারীদের গণধর্ষণের বিষয়ে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। শিনজিয়াংয়ের বন্দীশিবিরে শিক্ষকতা করতেন এমন একজন নারী সিএনএনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

কেলবিনুর সিদিক নামে ওই নারী জানান, শিনজিয়াংয়ে চীনা সরকারের বন্দীশিবিররে প্রথম দিন তিনি দেখেন দুই সৈন্য অল্প বয়সী উইঘুর এক নারী একটি স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছে।

সিদিক বলেন, ঐ নারীর মধ্যে কোন প্রাণের স্পন্দন ছিল না। তিনি শ্বাস নিচ্ছিলেন না। শিনজিয়াংয়ের দুইটি বন্দীশিবিরে ২০১৭ সালে কয়েক মাস শিক্ষকতা করেন সিদিক। ওই ক্যাম্পে কাজ করা এক নারী পুলিশ পরবর্তীতে সিদিককে জানান, ওই নারীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং এতে মারা যান। তবে কী কারণে রক্তক্ষরণ হয় সে সম্পর্কে কিছু জানাননি। সিদিকেই শুধু চীনের বন্দীশিবিরে নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেননি। দেশটির বন্দীশিবিরে আটক ছিলেন এমন বহুজন এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।

সিদিক আরও বলেন, ঐ নারী পুলিশ তাকে আরও জানান তার পুরুষ সহকর্মীরা ধর্ষণের ব্যাপারে গর্ব করতো। তারা যখন রাতে মদপান করতো তারা একে অপরকে বর্ণনা করতো তারা কিভাবে উইঘুর মেয়েদের ধর্ষণ করে এবং নির্যাতন চালায়।

একসময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন সিদিক এরপর জোরপূর্বক তাকে বন্দীশিবিরে শিক্ষকতা করতে পাঠানো হয়। ছবি: সংগৃহীত। এছাড়া সিদিক জানান, ২০১৭ সালে বন্দীশিবিরে ক্লাস নেওয়ার সময় দেখন প্রায় শিক্ষার্থী ১০০ নারী এবং পুরুষকে হাতকড়া পড়া অবস্থায়। বর্তমানে নেদারল্যান্ডে বসবাস করছেন সিদিক। সেখান থেকেই সিএনএনকে এসব তথ্য জানান।

এছাড়া সম্প্রতি বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমদের কথিত ‘পুনঃশিক্ষণ’ শিবিরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেখানে মুসলিম নারীরা ধারাবাহিক ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিবিসির এই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন।

Tag :
জনপ্রিয়

ফরিদপুরে চলাচলের অযোগ্য সড়ক মেরামত করলো যুবদল কর্মীরা

মুসলিম নারীদের গণধর্ষণে গর্ববোধ করত চীনা পুলিশরা

Update Time : ০৬:৪০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম নারীদের গণধর্ষণের বিষয়ে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। শিনজিয়াংয়ের বন্দীশিবিরে শিক্ষকতা করতেন এমন একজন নারী সিএনএনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

কেলবিনুর সিদিক নামে ওই নারী জানান, শিনজিয়াংয়ে চীনা সরকারের বন্দীশিবিররে প্রথম দিন তিনি দেখেন দুই সৈন্য অল্প বয়সী উইঘুর এক নারী একটি স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছে।

সিদিক বলেন, ঐ নারীর মধ্যে কোন প্রাণের স্পন্দন ছিল না। তিনি শ্বাস নিচ্ছিলেন না। শিনজিয়াংয়ের দুইটি বন্দীশিবিরে ২০১৭ সালে কয়েক মাস শিক্ষকতা করেন সিদিক। ওই ক্যাম্পে কাজ করা এক নারী পুলিশ পরবর্তীতে সিদিককে জানান, ওই নারীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং এতে মারা যান। তবে কী কারণে রক্তক্ষরণ হয় সে সম্পর্কে কিছু জানাননি। সিদিকেই শুধু চীনের বন্দীশিবিরে নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেননি। দেশটির বন্দীশিবিরে আটক ছিলেন এমন বহুজন এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।

সিদিক আরও বলেন, ঐ নারী পুলিশ তাকে আরও জানান তার পুরুষ সহকর্মীরা ধর্ষণের ব্যাপারে গর্ব করতো। তারা যখন রাতে মদপান করতো তারা একে অপরকে বর্ণনা করতো তারা কিভাবে উইঘুর মেয়েদের ধর্ষণ করে এবং নির্যাতন চালায়।

একসময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন সিদিক এরপর জোরপূর্বক তাকে বন্দীশিবিরে শিক্ষকতা করতে পাঠানো হয়। ছবি: সংগৃহীত। এছাড়া সিদিক জানান, ২০১৭ সালে বন্দীশিবিরে ক্লাস নেওয়ার সময় দেখন প্রায় শিক্ষার্থী ১০০ নারী এবং পুরুষকে হাতকড়া পড়া অবস্থায়। বর্তমানে নেদারল্যান্ডে বসবাস করছেন সিদিক। সেখান থেকেই সিএনএনকে এসব তথ্য জানান।

এছাড়া সম্প্রতি বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমদের কথিত ‘পুনঃশিক্ষণ’ শিবিরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেখানে মুসলিম নারীরা ধারাবাহিক ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিবিসির এই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন।