চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম নারীদের গণধর্ষণের বিষয়ে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। শিনজিয়াংয়ের বন্দীশিবিরে শিক্ষকতা করতেন এমন একজন নারী সিএনএনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
কেলবিনুর সিদিক নামে ওই নারী জানান, শিনজিয়াংয়ে চীনা সরকারের বন্দীশিবিররে প্রথম দিন তিনি দেখেন দুই সৈন্য অল্প বয়সী উইঘুর এক নারী একটি স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছে।
সিদিক বলেন, ঐ নারীর মধ্যে কোন প্রাণের স্পন্দন ছিল না। তিনি শ্বাস নিচ্ছিলেন না। শিনজিয়াংয়ের দুইটি বন্দীশিবিরে ২০১৭ সালে কয়েক মাস শিক্ষকতা করেন সিদিক। ওই ক্যাম্পে কাজ করা এক নারী পুলিশ পরবর্তীতে সিদিককে জানান, ওই নারীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং এতে মারা যান। তবে কী কারণে রক্তক্ষরণ হয় সে সম্পর্কে কিছু জানাননি। সিদিকেই শুধু চীনের বন্দীশিবিরে নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেননি। দেশটির বন্দীশিবিরে আটক ছিলেন এমন বহুজন এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
সিদিক আরও বলেন, ঐ নারী পুলিশ তাকে আরও জানান তার পুরুষ সহকর্মীরা ধর্ষণের ব্যাপারে গর্ব করতো। তারা যখন রাতে মদপান করতো তারা একে অপরকে বর্ণনা করতো তারা কিভাবে উইঘুর মেয়েদের ধর্ষণ করে এবং নির্যাতন চালায়।
এছাড়া সম্প্রতি বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমদের কথিত ‘পুনঃশিক্ষণ’ শিবিরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেখানে মুসলিম নারীরা ধারাবাহিক ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিবিসির এই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন।