ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

মেধা, জ্ঞান, বুদ্ধি এবং মননকে দেশের কাজে লাগানোর জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
  • ২৯৮ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দুপুরে ১১৬, ১১৭ ও ১১৮ তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাহবাগস্থ বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না বা তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণের উদ্ধৃতি দেন।

জাতির পিতা বলেছিলেন, আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় এ গরীব কৃষক। আপনার মাইনে দেয় ওই গরীব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। আমি গাড়ি চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক।

শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শিখেছি, রিকশাওয়ালাকে আপনি বলে সম্বোধন করেছি। কারণ আমাদের বাবা-মা সেটাই শিখিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে এই সমাজের প্রতি। প্রত্যেকের অবদান রয়েছে দেশের প্রতি। সে কথা মনে রাখতে হবে। তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে সবাই যেন ন্যায় বিচার পায়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, সমাজে বিরাজমান নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ইত্যাদি উপসর্গের বিরুদ্ধেও আপনাদেরকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই সকল ক্ষেত্রে  যারা অপরাধী, তাদেরকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন আপনারা- এটাই আমার নির্দেশনা।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাগত বক্তৃতা করেন। একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা কোর্সের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া পাঁচ মাসব্যাপী এবারের কোর্স করোনা বিভ্রাটে পড়ে বিলম্বিত হয়। পরে অনলাইনে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। ১১৬ জন অংশগ্রহণকারীর সবাই কৃতকার্য হয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী তিনজন শিক্ষার্থীর হাতে রেক্টর’স পদক তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী সনদপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এই করোনাকালীন অবস্থার মধ্যেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সাফল্য অর্জন করেছেন। আপনাদের এই অর্জিত জ্ঞানকে অবশ্যই দেশের কাজে লাগাবেন এবং দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে নিজেদেরকে আত্ননিয়োগ করবেন।

Tag :

কারো রক্তচক্ষু বা ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই: ডিসিদের প্রধান উপদেষ্টা

মেধা, জ্ঞান, বুদ্ধি এবং মননকে দেশের কাজে লাগানোর জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান

Update Time : ০৬:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দুপুরে ১১৬, ১১৭ ও ১১৮ তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাহবাগস্থ বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না বা তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণের উদ্ধৃতি দেন।

জাতির পিতা বলেছিলেন, আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় এ গরীব কৃষক। আপনার মাইনে দেয় ওই গরীব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। আমি গাড়ি চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক।

শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শিখেছি, রিকশাওয়ালাকে আপনি বলে সম্বোধন করেছি। কারণ আমাদের বাবা-মা সেটাই শিখিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে এই সমাজের প্রতি। প্রত্যেকের অবদান রয়েছে দেশের প্রতি। সে কথা মনে রাখতে হবে। তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে সবাই যেন ন্যায় বিচার পায়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, সমাজে বিরাজমান নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ইত্যাদি উপসর্গের বিরুদ্ধেও আপনাদেরকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই সকল ক্ষেত্রে  যারা অপরাধী, তাদেরকে অপরাধী হিসেবেই দেখবেন আপনারা- এটাই আমার নির্দেশনা।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাগত বক্তৃতা করেন। একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা কোর্সের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া পাঁচ মাসব্যাপী এবারের কোর্স করোনা বিভ্রাটে পড়ে বিলম্বিত হয়। পরে অনলাইনে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। ১১৬ জন অংশগ্রহণকারীর সবাই কৃতকার্য হয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী তিনজন শিক্ষার্থীর হাতে রেক্টর’স পদক তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী সনদপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এই করোনাকালীন অবস্থার মধ্যেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সাফল্য অর্জন করেছেন। আপনাদের এই অর্জিত জ্ঞানকে অবশ্যই দেশের কাজে লাগাবেন এবং দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে নিজেদেরকে আত্ননিয়োগ করবেন।