যক্ষা একটি অতি প্রাচীন রোগ।বাংলাদেশে যক্ষা রোগের বিস্তার ভয়াবহ কারণ এখনো প্রতি লাখ জনসংখ্যায় ২১৮ জন যক্ষা রোগী আছে।সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ যক্ষা নির্মূলে ও প্রতিরোধে বদ্ধ পরিকর। জেলা পর্যায়ে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যক্ষারোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা সম্পুর্ন বিনামূল্যে পাওয়া যায় কাজেই যক্ষা হলে রক্ষা নাই এই কথার আর ভিত্তি নাই।যক্ষারোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ন জনগোষ্ঠীসমূহ যেমন
১.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ব্যাক্তি।
২.বৃদ্ধ
৩.শিশু
৪.ফুসফুসের যক্ষারোগীর সংস্পর্শে আশা ব্যাক্তি।
৫. এইচ আইভি পজিটিভ রোগী।
সংক্রমণের স্থানের উপর ভিত্তি করে যক্ষারোগ প্রধানত দুই ধরনের
১.ফুসফুসের যক্ষা।
২.ফুসফুস বর্হিভূত যক্ষা।ফুসফুসের যক্ষা মোট যক্ষারোগের শতকরা ৮৫ ভাগ এবং ফুসফুসের বর্হিভূত যক্ষা মোট যক্ষা রোগের শতকরা ১৫ ভাগ।ফুসফুসের যক্ষা মানব দেহের ফুসফুসে হয় এবং ফুসফুস বর্হিভুত যক্ষা অর্থাৎ এই ধরনের যক্ষা মানব দেহের যেকোন জায়গায় হতে পারে।
এবার আশা যাক যক্ষার লক্ষনসমুহে ।
যক্ষা রোগের লক্ষ্মণসমুহ নিম্নরূপঃ
১.একনাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার বেশিসময় ধরে কাশি।
২.সল্প মাত্রার বেশিরভাগ সময়ে সান্ধ্যকালিন জর।
৩. ক্ষুদামন্দা
৪.ওজন হ্রাস পাওয়া
৫.শারীরিক দূর্বলতা
৬.কাশির সাথে রক্ত আশা।
সঠিক ঔষধ,সঠিক মাত্রায়,সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময়কাল বিবেচনা করে ঔষধ সেবন করলে যক্ষা সম্পুর্ন একটি নিরাময়যোগ্য রোগ।এস ডি জি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রায় যক্ষারোগ একটি প্রতিপাদ্য বিষয়।বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার নিজ অর্থায়নে যক্ষারোগের সকল ঔষধ ক্রয় করে তা বিনামূল্যে যক্ষারোগীদের মাঝে বিতরন করে থাকে।যক্ষারোগের আরেকটি ভয়াবহ রুপ হল বহু ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষা বা মাল্টি ড্রাগ রেসিস্টেন্ট টিবি অর্থাৎ যেসকল যক্ষারোগী সাধারণ যক্ষারোগের চিকিৎসায় ভালো হয় না এবং এদের জন্য বিশেষ ধরনের চিকিৎসার প্রোয়োজন হয় যা অত্যন্ত ব্যায়বহূল।যক্ষারোগ নিয়ন্ত্রণে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ যথেষ্ট ভুমিকা পালন করে থাকে
১.যক্ষারোগের প্রথম পর্যায়ে রোগটিকে নিরুপন করা।
২.দ্রুত কার্যকরী চিকিৎসা
৩.সাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন।
৪.পুস্টিকর খাবার গ্রহণ।
যক্ষামুক্ত একটি দেশের প্রত্যাশায়
ডাঃ মোঃ ফাহমিদূর রহমান