মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শরৎকাল, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ
পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় রোডমার্চ মাফ পাওয়ার সুযোগ নাই।-আমির খসরু ফরিদপুরে বিএনপির রোর্ড মার্চের পথসভা জনসমুদ্রে পরিনত ‌র‍্যাব ভিসানীতি নিয়ে ভাবছে না: ‌র‍্যাব দুই দিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ক্রিকেট বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিতে কতটা সোনা-রুপা রয়েছে, ওজন কত, মূল্য কত? শাটডাউন এড়ালেও নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে আজ জানা যাবে পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর কে বা কারা নোবেল পাচ্ছেন ক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে ঢাকার উদ্দেশে রাতে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে মাউশি

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী স্টার স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটির পতন

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২১
  • ২৪১ Time View

বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে উত্থানটা দারুণ ছিল। খুব স্বল্প সময়ের জন্য স্যামসাং ও অ্যাপলের মতো দৃঢ় প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে দখলে নিতে সক্ষম হয়েছিল স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষ অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী স্টার স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটির পতন ঘটতে চলেছে।

চীনভিত্তিক স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ের কথা বলা হচ্ছে। বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে ডিভাইস উৎপাদন ও সরবরাহ বিবেচনায় শীর্ষস্থান হারিয়ে গত বছর তৃতীয় অবস্থানে জায়গা পেয়েছে ব্র্যান্ডটি। আর চলতি বছর হুয়াওয়ের অবস্থান সপ্তমে নেমে যাবে।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডফোর্সের এক প্রতিবেদনে এমনটাই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর দ্য হিন্দু।

ট্রেন্ডফোর্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে চলতি বছর বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারের ৮০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষ পাঁচে থাকবে স্যামসাং, অ্যাপল, শাওমি, অপো ও ভিভো। মার্কিন রফতানি নিষেধাজ্ঞায় পড়ে নিজেদের ডিভাইস উৎপাদনের সরঞ্জাম সংকটে পড়েছে হুয়াওয়ে। বাধ্য হয়ে সাশ্রয়ী স্মার্টফোন উৎপাদনের সাব-বিভাগ ‘অনার’ বিক্রি করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে সাশ্রয়ী স্মার্টফোন বাজারে আধিপত্য হারাচ্ছে হুয়াওয়ে।

বৈশ্বিক স্মার্টফোন উৎপাদন চলতি বছর ৯ শতাংশ বেড়ে ১৩৬ কোটি ইউনিটে পৌঁছার আশা করা হচ্ছে। গত বছর স্মার্টফোন উৎপাদন হয়েছিল ১২৫ কোটি ইউনিট  কভিড-১৯ মহামারীর নতুন বাস্তবতায় মানিয়ে নিতে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরতা বেড়েছে। রিমোট ওয়ার্ক এবং অনলাইন শিক্ষার কারণে মোবাইল ডিভাইসের চাহিদা বাড়ছে। যে কারণে চলতি বছরকে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারের সাবেক অবস্থায় ফেরার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

গত বছর নভেম্বরের শেষদিকে সাশ্রয়ী স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগ ‘অনার’ বিক্রি করে দেয় হুয়াওয়ে। বিভাগটি কিনেছে স্থানীয় হ্যান্ডসেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল চায়নার নেতৃত্বাধীন ৪০টি কোম্পানির একটি কনসোর্টিয়াম। ওই সময় এক ঘোষণায় জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র চীনের বাণিজ্য বিরোধের জেরে খারাপ পরিস্থিতিতে থাকায় অনার ডিভাইস ব্যবসা বিভাগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিক্রি করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।

বিশ্বের শীর্ষ টেলিকম নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাতা হুয়াওয়ে। শুধু তা-ই নয়, গত বছরের শুরুর দিকে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতার তকমাটিও দখলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধের জেরে প্রতিষ্ঠানটির কনজিউমার ব্যবসা বিভাগ তীব্র চাপের মুখে রয়েছে। হুয়াওয়ের প্রবৃদ্ধি অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ডিভাইস উৎপাদন কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় প্রয়োজনীয় চিপ ও প্রযুক্তি সংকটে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ পরিস্থিতিতে অনেকটা নীরবে বিশ্বের কিছু বাজার থেকে ডিভাইস ব্যবসা গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে সাব-ব্র্যান্ড অনার স্মার্টফোন ব্যবসা বিভাগের আংশিক বিক্রির ইচ্ছে প্রকাশ করলেও সর্বশেষ পুরো বিভাগটিই বেচে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৩ সালে হুয়াওয়ের সাশ্রয়ী সাব-ব্র্যান্ড হিসেবে অনার ব্র্যান্ডের যাত্রা হয়। তবে অনার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে শাওমি, অপো ও ভিভোর মতো ব্র্যান্ডগুলোর তীব্র প্রতিযোগী ছিল অনার। হুয়াওয়ে অনার ব্র্যান্ডের আওতায় দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপসহ আরো কিছু বাজারে তুলনামূলক সাশ্রয়ী ফোন সরবরাহ করে এসেছে।

অনার ব্র্যান্ড বিষয়ে গত বছর অক্টোবরেই টিএফটি ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক কুও মিং চি বলেছিলেন, হুয়াওয়ের যে কোনো ধরনের সম্পদ ক্রয় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের অর্জন হতে পারে। সেটা অনার ডিভাইস ব্যবসা বিভাগ হোক কিংবা গবেষণা এবং উন্নয়ন বিভাগের আংশিক ক্রয় হোক। কারণ হুয়াওয়ের অনার ব্র্যান্ড এরই মধ্যে বৈশ্বিক ডিভাইস বাজারে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড। এর গবেষণা এবং উন্নয়ন বিভাগও অন্য যে কোনো স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের চেয়ে অনেক উন্নত।

বৈশ্বিক প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজার মন্দা সময় পার করছে। এক্ষেত্রে তুলনামূলক সাশ্রয়ী ফোন বাজার ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে। চলতি বছরও একই পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে হুয়াওয়ের অনার ডিভাইস ব্যবসা বিভাগের রাজস্ব ৮ হাজার কোটি ইউয়ানে পৌঁছেছিল। একই বছর প্রতিষ্ঠানটির অনার ডিভাইস ব্যবসা বিভাগের নিট মুনাফা ৫০০ কোটি ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়।

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102