ইউক্রেনের বাখমুত পুরো দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সৈন্যদের এবং ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপকে পূর্বাঞ্চলীয় শহরটি দখল করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। খবর: আলজাজিরা।
এতে বাখমুতে টানা কয়েক মাসের দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর বাখমুত পুরোপুরি দখল করা হয়েছে বলে শনিবার দাবি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বৃহৎ এই সমতল শহরটিতে হামলার নেতৃত্বে ছিল রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সেনারা।
ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন আগের দিন বলেছিলেন, তার সেনারা শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনীয়দের শহরের অভ্যন্তরে সর্বশেষ এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সোভিয়েত আমলে বাখমুতের নাম ছিল আর্টিওমভস্ক। বাখমুতের দখল গত ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতে মস্কোর প্রথম বড় বিজয় হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মূলত মাসের পর মাস ধরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহর দখলে নিতে লড়াই চালিয়ে গেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। তাই এই শহরের দখল রাশিয়ার জন্য বিরল সাফল্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাখমুত দখল নিয়ে ওয়াগনার গ্রুপের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যে মন্তব্য করেছিলেন সেটি শনিবার দিনের শুরুর দিকে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহর দখলে নেওয়া নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের পর ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এদিকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এই লড়াইয়ে অংশ নিয়ে যারা অন্যদের চেয়ে নিজেদের আলাদা করেছে, তাদের পুরস্কার দেয়া হবে।
এর আগে রাশিয়ার পতাকা এবং ওয়াগনার ব্যানারধারী যোদ্ধাদের সামনে দাঁড়িয়ে শনিবার এক ভিডিওবার্তায় ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, ‘শনিবার দুপুর ১২টায় বাখমুত শহরকে সম্পূর্ণভাবে দখলে নেয়া হয়েছে। আমরা শহরের প্রতিটি ঘর ও স্থাপনা দখল করে নিয়েছি।’
প্রিগোজিনের এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র সের্হি চেরেভাতি রয়টার্সকে বলেছিলেন, ‘এটি সত্য নয়। আমাদের ইউনিট বাখমুতে যুদ্ধ করছে।’
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাখমুত দখলের ঘোষণা দেয়ার পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।