লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীদের কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ, ৬ পুলিশসহ ৩০ আহত হয়েছে।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পশ্চিম কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচন চলাকালীন সময় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ কেন্দ্রের বাহিরে এক কিলোমিটার দূরে বালুয়া চৌমহনী এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে চট্রগ্রামের রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, র্যাব ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চালাকালীন কিছু সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিলো।
স্থানীয়রা জানায়, পৌর ৬নং ওয়ার্ডের উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন তার দলবল নিয়ে পশ্চিম কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করতে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঞ্জাবী প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ আকন্দের সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে আনোয়ারের অনুসারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর শুরু করলে এতে আলমগীর, কামাল হোসেন ও জামসেদসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয় আরো ৩০ জন।
পরে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিপিএিম (বার), পিপিএম এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, র্যাব ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকাগুলি ও লাঠি চার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কেন্দ্রের কোন কিছু খোয়া যায়নি বলে জানিয়েছে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিপিএম (বার) পিপিএম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।