শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরের ধাপেই আবাসিক হলের শিক্ষার্থীর টিকা পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে স্কুল খুলে দেয়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনাকে সফল করার উদ্দেশ্যে ১৫টি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে শুরু হলো ‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, “অতি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কথা হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীও মনে করেন, আমাদের যারা আবাসিক ছাত্র, তাদের টিকা আমরা দিয়ে দিতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারতাম।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বপ্রথম সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, সকল শিক্ষককে অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। এটা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়তা করবে। তারপরের ধাপেই আমরা আমাদের আবাসিক ছাত্রদের টিকা দিতে পারব বলে প্রত্যাশা করছি।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা এবং বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভলপমেন্ট এ্যাসিট্যান্স ফেদ্রা মুন মরিস।
এই ক্যাম্পেইনে যোগদানকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো হল – ব্র্যাক, ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এডুকো বাংলাদেশ, এফআইভিডিবি, ফ্রেন্ডশিপ, হিউম্যানিটি ইনক্লুশন, জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, রুম টু রিড, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ, স্ট্রমি ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন।