ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মির্জা ফখরুল গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু; শনাক্ত ১৫ জন আইআরজিসি প্রধানের নাম ঘোষণা করল ইরান বোমাতঙ্কে থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের প্রস্তুতি শেষ হলে রমজানের আগেই নির্বাচন করা যেতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইএইএ প্রধানের সতর্কবার্তা ‘ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ’ ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইসরায়েল যে অভিযানে ইরানের স্বশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বাঘেরিসহ নিহত ৬ ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান; ১০০টিরও বেশি ড্রোন ছুঁড়েছে

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে না সরকার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
  • ৩৮৭ Time View

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন করোনার বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সরকার এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে না। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে ফিজিক্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিশুদের সাথে তাদের অভিভাবকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। যদি ও শিশুদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম কিন্তু তারা নিরব বাহক হতে পারে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তাই সরকার এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করছে।

মঙ্গলবার করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তার সরকারি বাসভবনে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান মহামারী করোনার কারণে আমাদের শিক্ষা খাত নানা রকমের ঝুঁকিতে রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বৃদ্ধি পেতে পারে।

অনেক শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মান সম্মত শিক্ষা অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সমস্ত প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও করোনার কারনে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস সমাপ্ত করা এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাস সমূহ অনলাইনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের শিশুরা সাইকলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। তিনি বলেন করোনায় শিক্ষাখাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদেরকে সহায়তা করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারপরও আমাদের প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় ১০ শতাংশ অনেক বড় একটি সংখ্যা। আমরা কোন একজন শিক্ষার্থীকে পেছনে রেখে আগাতে চাইনা।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো এর নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ টোমো হোযুমি। এ মতবিনিময় সভায় আর ও উপস্থিত ছিলেন কারিগরিও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক , মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডঃ সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।

ছবি: সংগৃহীত

Tag :

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মির্জা ফখরুল

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে না সরকার

Update Time : ০২:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন করোনার বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সরকার এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে না। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে ফিজিক্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিশুদের সাথে তাদের অভিভাবকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। যদি ও শিশুদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম কিন্তু তারা নিরব বাহক হতে পারে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তাই সরকার এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করছে।

মঙ্গলবার করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তার সরকারি বাসভবনে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান মহামারী করোনার কারণে আমাদের শিক্ষা খাত নানা রকমের ঝুঁকিতে রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। যার ফলে কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বৃদ্ধি পেতে পারে।

অনেক শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মান সম্মত শিক্ষা অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সমস্ত প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও করোনার কারনে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস সমাপ্ত করা এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাস সমূহ অনলাইনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের শিশুরা সাইকলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। তিনি বলেন করোনায় শিক্ষাখাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদেরকে সহায়তা করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারপরও আমাদের প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় ১০ শতাংশ অনেক বড় একটি সংখ্যা। আমরা কোন একজন শিক্ষার্থীকে পেছনে রেখে আগাতে চাইনা।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো এর নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ টোমো হোযুমি। এ মতবিনিময় সভায় আর ও উপস্থিত ছিলেন কারিগরিও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক , মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডঃ সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।

ছবি: সংগৃহীত