ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ইরানের হামলায় ইসরায়েলের দুইটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত; নারী পাইলট আটক ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মির্জা ফখরুল গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু; শনাক্ত ১৫ জন আইআরজিসি প্রধানের নাম ঘোষণা করল ইরান বোমাতঙ্কে থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের প্রস্তুতি শেষ হলে রমজানের আগেই নির্বাচন করা যেতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইএইএ প্রধানের সতর্কবার্তা ‘ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ’

শিক্ষার্থীদের জন্য কী অপেক্ষা করছে বিশাল কোন বোঝা? করোনায় এলোমেলো শিক্ষাসূচি

ইতোমধ্যে এনসিটিবি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) বরাবরে পাঠানো হয়েছে। এনসিটিবির ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে যাতে কোনো শিক্ষার্থীই তাদের নিচের ক্লাসের (বর্তমান ক্লাস) পাঠ্যবই নষ্ট না করে। একই সাথে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরেও এমন নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ যাদের কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে তারা নেই প্রতিষ্ঠানে, সবাই যার যার বাড়ীতে অবস্থান করছে। ফলে শিক্ষাজট সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় বাদ পড়া পাঠ্যসূচি শিক্ষার্থীরে ওপরের ক্লাসে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই যাতে পাঠ্যসূচির সব অংশের ওপরেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

প্রতি বছর সরকারের ব্যবস্থাপনায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে গত মার্চ মাস থেকেই বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে এসে এখন শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপরে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তবে পাঠ্যবইয়ের পুরো অংশ তাদের এখন এই করোনার মধ্যে পড়ানো কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে তার ওপরেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে মাউশি সিদ্ধান্ত নিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বাছাই করা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ও অধ্যায়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে সেখান থেকে শ্রেণী শিক্ষকের মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে তা আবার আদায়ও করছে। ছয় সপ্তাহ ধরে চলবে এই অ্যাসাইনমেন্ট ও পাঠপর্ব। এরপর এই অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের এবং তাদের পিতামাতাকেও এখন সচেতন হতে হবে। পাঠ্যবই অন্য বছরের মতো এ বছর নষ্ট করা যাবে না। এ বছর অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হলেও সব বই ভালোভাবেই সংরক্ষণ করতে হবে শিক্ষার্থীদেরকেই। সাধারণত বার্ষিক পরীক্ষার পর কেউ কেউ বইগুলো ছোটভাইবোনদের দিয়ে দেয়, কেউ আত্মীয়স্বজনদের কেউ প্রতিবেশীদের দিয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ কেজি দরে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু এবার তা করা যাবে না। সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে দেয়া পাঠ্যবইগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, এনসিটিবির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি চিঠি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এ বছর প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের তাদের নিজ দায়িত্বে পুরনো বই সংরক্ষণ করতে হবে। কেননা করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল খুললে শিক্ষার্থীরা ওপরের ক্লাসে প্রমোশন পেলেও গুরুত্বের বিবেচনায় নিচের ক্লাসের কিছু বিষয়ে তাদের ওপরের ক্লাসেও পাঠ দান করা হবে। সেই বিবেচনায় অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বেই পুরনো বই সংরক্ষণ করতে হবে।

ছবি: সংগৃহীত

Tag :

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের দুইটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত; নারী পাইলট আটক

শিক্ষার্থীদের জন্য কী অপেক্ষা করছে বিশাল কোন বোঝা? করোনায় এলোমেলো শিক্ষাসূচি

Update Time : ০৭:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০

ইতোমধ্যে এনসিটিবি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) বরাবরে পাঠানো হয়েছে। এনসিটিবির ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে যাতে কোনো শিক্ষার্থীই তাদের নিচের ক্লাসের (বর্তমান ক্লাস) পাঠ্যবই নষ্ট না করে। একই সাথে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরেও এমন নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ যাদের কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে তারা নেই প্রতিষ্ঠানে, সবাই যার যার বাড়ীতে অবস্থান করছে। ফলে শিক্ষাজট সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় বাদ পড়া পাঠ্যসূচি শিক্ষার্থীরে ওপরের ক্লাসে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই যাতে পাঠ্যসূচির সব অংশের ওপরেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

প্রতি বছর সরকারের ব্যবস্থাপনায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে গত মার্চ মাস থেকেই বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে এসে এখন শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপরে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তবে পাঠ্যবইয়ের পুরো অংশ তাদের এখন এই করোনার মধ্যে পড়ানো কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে তার ওপরেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে মাউশি সিদ্ধান্ত নিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বাছাই করা নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ও অধ্যায়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে সেখান থেকে শ্রেণী শিক্ষকের মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে তা আবার আদায়ও করছে। ছয় সপ্তাহ ধরে চলবে এই অ্যাসাইনমেন্ট ও পাঠপর্ব। এরপর এই অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের এবং তাদের পিতামাতাকেও এখন সচেতন হতে হবে। পাঠ্যবই অন্য বছরের মতো এ বছর নষ্ট করা যাবে না। এ বছর অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হলেও সব বই ভালোভাবেই সংরক্ষণ করতে হবে শিক্ষার্থীদেরকেই। সাধারণত বার্ষিক পরীক্ষার পর কেউ কেউ বইগুলো ছোটভাইবোনদের দিয়ে দেয়, কেউ আত্মীয়স্বজনদের কেউ প্রতিবেশীদের দিয়ে দেয়। আবার কেউ কেউ কেজি দরে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু এবার তা করা যাবে না। সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে দেয়া পাঠ্যবইগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, এনসিটিবির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি চিঠি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এ বছর প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের তাদের নিজ দায়িত্বে পুরনো বই সংরক্ষণ করতে হবে। কেননা করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল খুললে শিক্ষার্থীরা ওপরের ক্লাসে প্রমোশন পেলেও গুরুত্বের বিবেচনায় নিচের ক্লাসের কিছু বিষয়ে তাদের ওপরের ক্লাসেও পাঠ দান করা হবে। সেই বিবেচনায় অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বেই পুরনো বই সংরক্ষণ করতে হবে।

ছবি: সংগৃহীত