ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন যেকোনো নাগরিক দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ব্যাংকগুলো নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার করছে বৃহস্পতিবার মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তনের সুপারিশ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস করার সুযোগ নেই ফরিদপুরের কৃতি সন্তান সাবেক আইজিপি এম আজিজুল হকের ইন্তেকাল সবজি ছাড়া নিত্যব্যবহার্য প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে, মূল্যস্ফীতি চরম পর্যায়ে সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও উচ্চ মূল্যে অনেকটায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৫৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৮ Time View

১২ মাসে ৬ ঋতুর দেশ বলা হয় বাংলাদেশকে। একেক ঋতুর একেক বৈশিষ্ট্য। যেমন শীতকালকে ধরা হয় সবজি উৎপাদনের সেরা সময়। তাই এই সময়টায় মানুষ তাদের সবজির চাহিদা মেটাতে অনেকটায় নির্ভরশীল। তবে শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও উচ্চ মূল্যে অনেকটায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিন্ডিকেট মুক্ত বাজার হবে, দাম কমবে নিত্যপণ্যের- এমনটাই আশা ছিলো সাধারণ মানুষের। তবে এ পর্যন্ত খুব একটা স্বস্তি মিলেনি। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের চাপে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। পারছেন না আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসঙ্গতি মিলাতেও।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেত কাচাঁ বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এদিন সবজির ভরা মৌসুমেও দু-একটা ছাড়া কোনো সবজিই ৬০-৭০ টাকার নিচে বিক্রি হতে দেখা যায়নি।

বাজারে ফুলকপি সাইজভেদে ৪০-৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৪০ টাকা পিস, শালগম ৬৫-৭০ টাকা কোজ, মুলা ৫০ টাকা কেজি, শিম ৮০ টাকা কেজি, বরবটি শিম ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি, বেগুন ৭০-৭৫ টাকা কেজি, টমেটো ১৪০-১৬০ টাকা কেজি, ঝিঙে ৬০ টাকা কেজি, উচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা কেজি, সাইজভেদে লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি কর‍তে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন

এছাড়াও প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ টাকা, পুরাতন আলু ৭৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ১০০-১৩০ টাকা কেজি, রসুন ২৪০-২৬০ টাকা কেজি, আদা ১৪০-১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

আমিষের বাজার ছিলো স্থিতিশীল। গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১৯০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩১০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৫২০-৫৩০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি ও ডিম ডজন প্রতি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ভোক্তা আব্দুর রহীম বলেন, আগে ত বলতো সিন্ডিকেটের কথা, এখন সিন্ডিকেট কারা? মানুষ খেয়ে-না খেয়ে আছে। এখন সবজির দাম কম হবার কথা কিন্তু দাম তো কম না। এখনো দাম বেশি। শীতকাল চলে আসছে কিন্তু দাম কমে না৷ আগে বেগুন ফালাইয়াও দিছে দেখছি, ৫-১০ টাকা কেজি কিন্তু সেই বেগুনই এখনো ৬০-৭০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে।

সবজির দোকানদার মুস্তফা বলেন, দাম যে একদমই কমছে না তা না, কিছুটা কমছে। এখন সবাই আইসা আমাদের ধরে, দাম কমে না কেন? আমরা পাইকারি বাজার থেকে যা কিনে তাই তো বিক্রি করতে হয়। পাইকারি বাজারে দাম না কমলে আমরা কমে বিক্রি করবো কিভাবে।

Tag :
জনপ্রিয়

পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন

শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও উচ্চ মূল্যে অনেকটায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা

Update Time : ০৯:৫৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

১২ মাসে ৬ ঋতুর দেশ বলা হয় বাংলাদেশকে। একেক ঋতুর একেক বৈশিষ্ট্য। যেমন শীতকালকে ধরা হয় সবজি উৎপাদনের সেরা সময়। তাই এই সময়টায় মানুষ তাদের সবজির চাহিদা মেটাতে অনেকটায় নির্ভরশীল। তবে শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও উচ্চ মূল্যে অনেকটায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিন্ডিকেট মুক্ত বাজার হবে, দাম কমবে নিত্যপণ্যের- এমনটাই আশা ছিলো সাধারণ মানুষের। তবে এ পর্যন্ত খুব একটা স্বস্তি মিলেনি। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের চাপে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। পারছেন না আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসঙ্গতি মিলাতেও।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেত কাচাঁ বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এদিন সবজির ভরা মৌসুমেও দু-একটা ছাড়া কোনো সবজিই ৬০-৭০ টাকার নিচে বিক্রি হতে দেখা যায়নি।

বাজারে ফুলকপি সাইজভেদে ৪০-৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৪০ টাকা পিস, শালগম ৬৫-৭০ টাকা কোজ, মুলা ৫০ টাকা কেজি, শিম ৮০ টাকা কেজি, বরবটি শিম ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি, বেগুন ৭০-৭৫ টাকা কেজি, টমেটো ১৪০-১৬০ টাকা কেজি, ঝিঙে ৬০ টাকা কেজি, উচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা কেজি, সাইজভেদে লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি কর‍তে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন

এছাড়াও প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ টাকা, পুরাতন আলু ৭৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ১০০-১৩০ টাকা কেজি, রসুন ২৪০-২৬০ টাকা কেজি, আদা ১৪০-১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

আমিষের বাজার ছিলো স্থিতিশীল। গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১৯০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩১০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৫২০-৫৩০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি ও ডিম ডজন প্রতি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ভোক্তা আব্দুর রহীম বলেন, আগে ত বলতো সিন্ডিকেটের কথা, এখন সিন্ডিকেট কারা? মানুষ খেয়ে-না খেয়ে আছে। এখন সবজির দাম কম হবার কথা কিন্তু দাম তো কম না। এখনো দাম বেশি। শীতকাল চলে আসছে কিন্তু দাম কমে না৷ আগে বেগুন ফালাইয়াও দিছে দেখছি, ৫-১০ টাকা কেজি কিন্তু সেই বেগুনই এখনো ৬০-৭০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে।

সবজির দোকানদার মুস্তফা বলেন, দাম যে একদমই কমছে না তা না, কিছুটা কমছে। এখন সবাই আইসা আমাদের ধরে, দাম কমে না কেন? আমরা পাইকারি বাজার থেকে যা কিনে তাই তো বিক্রি করতে হয়। পাইকারি বাজারে দাম না কমলে আমরা কমে বিক্রি করবো কিভাবে।