গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ দণ্ডিত আসামিদের আপিল খারিজ করে এ রায় দিয়েছেন।
আদালত বলেছেন, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ অপর আসামিরা ষড়যন্ত্র করে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জনসমবেশের পাশের দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে। যা আসামিদের দোষ স্বীকারোক্তি ও সাক্ষীদের সাক্ষে উঠে এসেছে। এ জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায় মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হলো।
রায়ে ১৪ বছর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ১৪ বছর দণ্ড ভোগ করায় তাকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন: ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর।
এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈতবেঞ্চে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন মামলা করেন।