জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরদিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে দেশে ফিরে রবিবার (৩১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, এপ্রিলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন থাকায় মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ঢাকায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আগামী ২৫ অথবা ২৬ মার্চ ঢাকায় আসতে পারেন। ২৭ মার্চ তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন উপহার দেওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই চিঠি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলেও জানান তিনি
সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, চাওয়ার সঙ্গে মিল না পাওয়ায় তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের হতাশা আসাটা স্বাভাবিক। এবার শক্তভাবে তাই ঢাকা তার অবস্থান জানিয়েছে এবং বিষয়টিকে অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছে বাংলাদেশ। তিস্তা চুক্তির কাজটি এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ তার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে, ভারত আগের মতোই আশ্বাস দিয়েছে। মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেওয়ায় ভারতকে ধন্যবাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। সেরামের ভ্যাকসিন পেতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এজন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিশেষ বিমান চলাচল এয়ার বাবলের মেয়াদ এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চীনের সঙ্গে মিয়ানমারকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারত-জাপান আশিয়ানকে যুক্ত করতে চায় বাংলাদেশ। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে যোগাযোগের জন্য শুধু সড়ক পথ নয়, নৌ ও রেলপথেও সংযোগ তৈরির চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পর রাখাইনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ভারতকেও আশা করছে বাংলাদেশ। দিল্লীর আলোচনায় বলা হয়েছে, রাখাইনে ভারত, জাপান, আসিয়ানের অন্যান্য দেশও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।