পৌষের শুরুতেই দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। ইতোমধ্যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বেশ ক’দিন ধরেই কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে সূর্যের দেখা পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছে। সেই সাথে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। এতে ঠাণ্ডার তীব্রতা বেড়ে চলেছে।
এরই মধ্যে দেশের একটি বিভাগ ও ১০ অঞ্চলে প্রবাহিত শৈত্যপ্রবাহ আরো ৪-৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ক’দিন পর তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ডিসেম্বরজুড়েই চলবে তীব্র শীত।
আজ ২০ ডিসেম্বর, রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আববহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের রংপুর বিভাগমহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, পাবনা, রাজশাহী, যশোর, কুমারখালী, চোয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া রবিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। ঢাকায় আজ দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আর গতকাল ১৯ ডিসেম্বর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এই ২৪ ঘণ্টার পরের দুদিন আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তার পরের পাঁচ দিনের প্রথমার্ধে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘২৪, ২৫ বা ২৬ ডিসেম্বরের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। অতটা বাড়বে না। কয়েক দিনে যেমন ধাপে ধাপে কমেছে, ওইরকম এক-দুই ডিগ্রি করে হয়তো বাড়বে।’
তবে যদি এক বা দুই ডিগ্রি বেড়ে যায়, তারপরও তা শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই থাকবে বলেও জানান তিনি।
সে হিসেবে এ মাস জুড়ে তো শৈত্যপ্রবাহ থাকবেই, জানুয়ারি মাসেও শৈত্যপ্রবাহ থেকে যেতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।
ফরিদপুর পরিস্থিতি:
ফরিদপুরে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট। ফলে গত শুক্রবার রাত থেকে তীব্র শীতের কবলে কাহিল হয়ে পড়েছে শহরবাসীসহ জেলার জনগণ। কিছুদিন পূর্বে ঘন কুয়াশা ও মেঘের আস্তরন সরে যাওয়ায় শীতের এ তীব্রতা বেড়েছে। ফরিদপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা দ্য পদ্মা২৪.কমকে বলেন, গত শুক্রবার সকাল নয়টায় ফরিদপুরে সর্বনিন্ম তামমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট। গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তাপমাত্রাা ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট কমে গেছে। গতকাল শনিবার ফরিদপুরের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট।
২৪ ঘন্টার ব্যবধানে হঠাৎ করে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট কমে যাওয়ায় তীব্র শীতের কারনে শহরবাসীসহ ফরিদপুর জেলার জনগণ কাহিল হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি নাজক অবস্থায় রয়েছে চর এলাকার বাসিন্দারা ও শহরের বস্তিবাসীরা।