ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করা হবে: আইন উপদেষ্টা ফরিদপুরে শারদীয় দূর্গা উৎসব নিয়ে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাতবারের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ফের ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন লিওনেল মেসির জাদুতে এবারের সাপোর্টার্স শিল্ড জিতে নিল ইন্টার মায়ামি আজকের নামাজের সময়সূচি ৩রা অক্টোবর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা হিজবুল্লাহর হামলায় ৪ ইসরাইলি সেনা নিহত ফরিদপুরে সীরতুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ

ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৩২৩ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রকার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মানুষের জীবন-মান উন্নত হলে, তারা ভালো থাকলেই একটা আঘাত আসার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের মানুষের যখন একটু ভালো সময় আসে, মানুষ একটু ভালো থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, জীবন-মান একটু উন্নত হয় তখনই কিন্তু একটা আঘাত আসার আশঙ্কা থাকে। সেই কারণেই সবাইকে একটু সতর্ক থাকা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই,২০২০-জুন,২০২৫) দলিলের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার প্রারম্ভিক ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা এ সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করে জাতির পিতা যখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই দেশে ১৫ আগস্টের বিয়োগান্ত অধ্যায় সংঘটিত হয় বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে পা বাড়াচ্ছিলেন দেশটা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং তার সুফলও মানুষ পেতে শুরু করেছে, মানুষ একটু খুশি এবং স্বস্তিতে, ঠিক সেই সময়ে কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনাটা ঘটল।’
তিনি বলেন, একটা বিষয় আমি সব সময় স্মরণ করাতে চাই, যখন বাংলাদেশে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে-জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, ব্যাপকভাবে ফসল উৎপাদনের প্রস্তুতি এবং সেটা হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা গেছে, কলকারখানা স্কুল-কলেজ সব চালু-সবদিক থেকে মানুষ যেন একটা স্বস্তিতে ফিরে এসেছে তখন শুধু জাতির পিতাকে হত্যা নয়, আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারালাম।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের সব শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং নির্যাতিতা মা-বোনদের স্মরণ করে সবাইকেই এ বিষয়ে একটু সতর্ক করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সবার সহযোগিতায় তার সরকারের করোনা মোকাবিলার সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘ভৌগোলিক দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার দিক থেকে বড় এই দেশে আমরা করোনা মোকাবিলা করেও তাকে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলায় আমরা যেমন নির্দেশনা দিয়েছি, প্রণোদনা দিয়েছি তেমনি ভ্যাকসিন প্রদানও শুরু করেছি। যা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও এখনো আনতে পারে নাই।
তিনি ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণা চলার সময় এটি চালু হলে বাংলাদেশ যেন আগে পেতে পারে সে জন্য আগাম অর্থ দিয়ে বুকিং করে রেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ এইচও) যখনই অনুমতি দেবে ভ্যাকসিনটা যাতে দেশের মানুষকে পেতে পারে। তার সরকার সেটা করতে সক্ষম হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বঙ্গবন্ধু কন্যা এ সময় দেশবাসীর প্রতি পুনরায় কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, ‘তারা ভোট দিয়েছিল বলেই আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরেছি এবং তাদের সেবা করার সুযোগটা পেয়েছি।’
তার সরকার, দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী এবং জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সবাই আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়াতেই দেশের কোভিড এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের অর্থনীতি আজ স্থবির অনেক উন্নত দেশ না পারলেও বাংলাদেশ আজ ভ্যাকসিন দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছে।’
তিনি ’৭৫ পরবর্তী স্বৈরশাসনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র কখনো অব্যাহত ভাবে চলে নাই। জাতির পিতাকে হত্যার পর একর পর এক ‘মার্শাল ল’ এবং সামরিক শাসকরা দেশ চালিয়েছে। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই দেশে চলেছে। এর সঙ্গে অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবই আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং এসব মোকাবিলা করেও আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছি এবং করেনাভাইরাস মোকাবিলাতেও আমরা সাফল্য অর্জন করেছি এবং করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষ যথেষ্ট সচেতন বিধায় এই করোনাভাইরাসের প্রভাব আর খুব বেশি আমাদের দেশে থাকবে না।
তিনি এ সময় ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলার সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি স্মৃতিচারণ করে সেই মামলার আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হক হত্যাকাণ্ডের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
এর প্রতিবাদেই তিনি, বঙ্গমাতাসহ সমগ্র দেশবাসী আন্দোলনে ফেটে পড়ে এবং বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনে। কেননা বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার একটা প্রারম্ভিক চেষ্টা হিসেবেই সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রেহানা আর আমি সকাল থেকে বারবার শুধু সার্জেন্ট জহুরুল হকের কথাই মনে করছিলাম, এই দিনই ক্যান্টনমেন্টে তাকে হত্যা করা হয়। কারণ তাকে যখন হত্যা করা হোল তখন আমরা খুব শঙ্কিত ছিলাম যে, এরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত আসবে, আমরা বাবাকে হারাব। অবশেষে, সেই আঘাতটা অসলো ১৫ আগস্ট। কিন্তু সেই দিন গণমানুষের যে স্রোত, সে জন্য আইয়ুব খান বাধ্য হলো, তার পতনও হলো’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আগেই আমরা অনুমোদন দিয়েছিলাম আর আজকে আমরা তা উন্মুক্ত করলাম। যার বাস্তবায়নও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি ভাষার মাসে সব ভাষা শহীদকে স্মরণ করে বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করাতে বছরের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু স্মৃতি আমাদের রয়ে গেছে। কাজেই, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাক, সুস্থ থাক এবং স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এটাই আমাদের একমাত্র কামনা।
Tag :
জনপ্রিয়

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম

ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Update Time : ০৫:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রকার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মানুষের জীবন-মান উন্নত হলে, তারা ভালো থাকলেই একটা আঘাত আসার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করবেন, বাংলাদেশের মানুষের যখন একটু ভালো সময় আসে, মানুষ একটু ভালো থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, জীবন-মান একটু উন্নত হয় তখনই কিন্তু একটা আঘাত আসার আশঙ্কা থাকে। সেই কারণেই সবাইকে একটু সতর্ক থাকা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই,২০২০-জুন,২০২৫) দলিলের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার প্রারম্ভিক ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা এ সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করে জাতির পিতা যখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই দেশে ১৫ আগস্টের বিয়োগান্ত অধ্যায় সংঘটিত হয় বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে পা বাড়াচ্ছিলেন দেশটা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং তার সুফলও মানুষ পেতে শুরু করেছে, মানুষ একটু খুশি এবং স্বস্তিতে, ঠিক সেই সময়ে কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘটনাটা ঘটল।’
তিনি বলেন, একটা বিষয় আমি সব সময় স্মরণ করাতে চাই, যখন বাংলাদেশে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে-জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, ব্যাপকভাবে ফসল উৎপাদনের প্রস্তুতি এবং সেটা হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা গেছে, কলকারখানা স্কুল-কলেজ সব চালু-সবদিক থেকে মানুষ যেন একটা স্বস্তিতে ফিরে এসেছে তখন শুধু জাতির পিতাকে হত্যা নয়, আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারালাম।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের সব শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং নির্যাতিতা মা-বোনদের স্মরণ করে সবাইকেই এ বিষয়ে একটু সতর্ক করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সবার সহযোগিতায় তার সরকারের করোনা মোকাবিলার সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘ভৌগোলিক দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার দিক থেকে বড় এই দেশে আমরা করোনা মোকাবিলা করেও তাকে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলায় আমরা যেমন নির্দেশনা দিয়েছি, প্রণোদনা দিয়েছি তেমনি ভ্যাকসিন প্রদানও শুরু করেছি। যা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও এখনো আনতে পারে নাই।
তিনি ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণা চলার সময় এটি চালু হলে বাংলাদেশ যেন আগে পেতে পারে সে জন্য আগাম অর্থ দিয়ে বুকিং করে রেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ এইচও) যখনই অনুমতি দেবে ভ্যাকসিনটা যাতে দেশের মানুষকে পেতে পারে। তার সরকার সেটা করতে সক্ষম হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বঙ্গবন্ধু কন্যা এ সময় দেশবাসীর প্রতি পুনরায় কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, ‘তারা ভোট দিয়েছিল বলেই আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরেছি এবং তাদের সেবা করার সুযোগটা পেয়েছি।’
তার সরকার, দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী এবং জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সবাই আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়াতেই দেশের কোভিড এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের অর্থনীতি আজ স্থবির অনেক উন্নত দেশ না পারলেও বাংলাদেশ আজ ভ্যাকসিন দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছে।’
তিনি ’৭৫ পরবর্তী স্বৈরশাসনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র কখনো অব্যাহত ভাবে চলে নাই। জাতির পিতাকে হত্যার পর একর পর এক ‘মার্শাল ল’ এবং সামরিক শাসকরা দেশ চালিয়েছে। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই দেশে চলেছে। এর সঙ্গে অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবই আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং এসব মোকাবিলা করেও আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছি এবং করেনাভাইরাস মোকাবিলাতেও আমরা সাফল্য অর্জন করেছি এবং করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষ যথেষ্ট সচেতন বিধায় এই করোনাভাইরাসের প্রভাব আর খুব বেশি আমাদের দেশে থাকবে না।
তিনি এ সময় ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলার সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি স্মৃতিচারণ করে সেই মামলার আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হক হত্যাকাণ্ডের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
এর প্রতিবাদেই তিনি, বঙ্গমাতাসহ সমগ্র দেশবাসী আন্দোলনে ফেটে পড়ে এবং বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনে। কেননা বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার একটা প্রারম্ভিক চেষ্টা হিসেবেই সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রেহানা আর আমি সকাল থেকে বারবার শুধু সার্জেন্ট জহুরুল হকের কথাই মনে করছিলাম, এই দিনই ক্যান্টনমেন্টে তাকে হত্যা করা হয়। কারণ তাকে যখন হত্যা করা হোল তখন আমরা খুব শঙ্কিত ছিলাম যে, এরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত আসবে, আমরা বাবাকে হারাব। অবশেষে, সেই আঘাতটা অসলো ১৫ আগস্ট। কিন্তু সেই দিন গণমানুষের যে স্রোত, সে জন্য আইয়ুব খান বাধ্য হলো, তার পতনও হলো’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আগেই আমরা অনুমোদন দিয়েছিলাম আর আজকে আমরা তা উন্মুক্ত করলাম। যার বাস্তবায়নও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি ভাষার মাসে সব ভাষা শহীদকে স্মরণ করে বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করাতে বছরের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু স্মৃতি আমাদের রয়ে গেছে। কাজেই, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাক, সুস্থ থাক এবং স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এটাই আমাদের একমাত্র কামনা।