আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার যুবলীগের ২০১ সদস্যের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন, সেখানে ২৭ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীতে ৮ নম্বরে আছেন নিক্সন চৌধুরী।
ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনে এতদিন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে নির্বাচন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন নিক্সন চৌধুরী।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিক্সন চৌধুরী লিখেছেন, ‘আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি ডক্টর ফজলে শামস পরশ ভাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধুর এলাকা বৃহত্তর ফরিদপুরে বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান; ফরিদপুর-৪ আসন থেকেও বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই জিতে আসছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া আধিপত্যের মধ্যে জাফর উল্যাহ ২০০৮ সালে নির্বাচন করতে না পারায় তার স্ত্রী নিলুফার জাফর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপরই আবির্ভাব ঘটে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের (নিক্সন চৌধুরী)। বঙ্গবন্ধুর বড় বোন ফাতেমা বেগমের নাতি তিনি। নিক্সনের বাবা ইলয়াস আহমেদ চৌধুরী মাদারীপুরের শিবচরের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার ভাই নূরে আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) এখন ওই আসনের এমপি, তিনি জাতীয় সংসদে চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে জনাব নিক্সন চৌধুরী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজৈনিতক ও সামাজিক সংগঠন ফরিদপুর শহরে একাধিক মিছিল বের করে যা ফরিদপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।


