করোনার বাধা ঠেলে দশ মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। ওদিকে নিষেধাজ্ঞা মুক্ত সাকিব আল হাসান পরেছেন জাতীয় দলের জার্সি। তার দিকে ছিল আলাদা নজর। ফেরার এই ম্যাচে বোলিংয়ে দুর্দান্ত করেছে টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে দিয়েছে ১২২ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথমে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলের ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিসকে। নিজের প্রথম ওভারেই ৭ রানে তুলে নেন তাকে। এরপর ক্যাচে পরিণত করেন জসুয়া সিলভাকে। ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।
পরের তিন উইকেট তুলে নেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব। আন্দ্রে ম্যাককার্টি ১২ রানে সু্ইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। এরপর সফরকারী দলের অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদকে ১৭ রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন। এনকুরুমা বোনারকে শূন্য রানে বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিবের লাইনে পড়া বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেও ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন। এলবিডব্লিউ আউট দিতে দেরি করেননি আম্পায়ার।
বাংলাদেশের হয়ে আজই ওয়ানডেতে অভিষিক্ত মাহমুদ টানা দুই বলে নিলেন দুই উইকেট। প্রথমে পাওয়েল, পরের বলে রেমন রেইফার। হ্যাটট্রিক করে অভিষেক রাঙানোর সুযোগ এসেছিল তরুণ পেসারের সামনে। কিন্তু আলজারি জোসেফ ঠেকিয়ে দেন তাঁর স্টাম্প সোজা বল।
হ্যাটট্রিক না হোক, পরের ওভারে আরেক উইকেট নিয়ে দারুণ তিন উইকেটে অভিষেকটা এখন পর্যন্ত ভালোই কাটছে মাহমুদের। মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের পর তাঁর জোড়া ধাক্কায় আবার পথ হারায় উইন্ডিজ। এরপর উইন্ডিজকে অলআউট করতে আর বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশের।
হাসান মাহমুদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান নেন শেষ তিন উইকেট। তাতে ১২২ রানেই অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে উইন্ডিজের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করা কাইল মায়ার্সকে সাজঘরে ফেরান অফ স্পিনার মেহেদি মিরাজ। আর আলজারি জোসেপকে বোল্ড করে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ফেরা সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে দেন। সফরাকারী খেলতে পারেন মাত্র ৩২.২ ওভার। সাকিব আল হাসান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ম্যাচে করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেরা বোলিং। ৭.২ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।