ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্ট থাকা অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শওকত আলীর মৃত্যু হয় বলে জাতীয় সংসদের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ জানিয়েছেন।
৮৪ বছর বয়সী শওকত আলী কিডনি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। এসব কারণে বেশ কিছুদিন ধরে সিএমএইচে চিকিৎসা নিতে হচ্ছিল তাকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হন তিনি। শওকত আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, শওকত আলী কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস ও নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগও ছিল। এ কারণে তিনি সিএমএইচে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
শওকত আলী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। কর্নেল পদে থাকা অবস্থায় তিনি অবসরে যান। শওকত আলী শরীয়তপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ। এই আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় শওকত আলীও আসামি ছিলেন।
শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শোক বার্তায় শেখ হাসিনা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামি করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে একসঙ্গে কারাবাস করার ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
শওকত আলী মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা।
আজ সোমবার বাদ মাগরিব তাঁর নামাজে জানাজা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বিকেল ৩টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ জাতীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। কাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে তাঁর মরদেহ শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ায় নেওয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নড়িয়া শহীদ মিনারে রাখা হবে। বাদ জোহর নড়িয়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় স্বাধীনতা ভবনে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।