ফরিদপুরে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বড়বাংরাইল গ্রামে গলায় উঁড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক প্রবাসীর স্ত্রী মিতু বেগম (২২)। সোমবার (২২ ফ্রেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে মিতু বেগম বাবার বাড়ীতে নিজের থাকার ঘরের আড়ার সাথে উড়ঁনা পোচিয়ে আত্মহত্যা করে। সে বড়বাংরাইল গ্রামের বকুল মোল্যার মেয়ে এবং কুয়েত প্রবাসী মানিকগঞ্জ জেলার মারুফ মিয়ার স্ত্রী। জানা গেছে, মিতু বেগম ও কুয়েত প্রবাসী মারুফ মিয়ার ৪ বছরের দাম্পত্য জীবন। মৃত্যের স্বামী কুয়েত যাবার পর থেকে বাবার বাড়ি থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল। সে উপজেলার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ডিগ্রিতে অধ্যায়নরত ছিল। মিতুর পরিবার জানায়, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে রাত ৯ টার দিকে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায় এবং সে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গেলে তার কোনো সাড়া মেলেনি। একাধিকবার ডাকলেও সে আর ঘুম থেকে উঠেনি। পরে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙ্গে দেখে ঘরের আাঁড়ার সাথে নিজের উঁড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মৃত্যের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে কি কারনে সে আত্মহত্রা করেছে তার সঠিক কোনো কারন জানা যায়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত গোলদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয়ের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।